• ঝাড়গ্রামের আর বিএম স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রানি বিনোদ মঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়। মঙ্গলবার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল উৎসবের মেজাজ। মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির কৃতী ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। 


    এই স্কুল ‘আর বিএম’ নামে অধিক পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুলের পথ চলা শুরু হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবার স্কুলটি গড়ে তুলতে মূখ্য ভূমিকা নেয়। রানি বিনোদ মঞ্জরীর নামে স্কুলটির নামকরণ করা হয়। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৪৮ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি অনুমোদন পায়। ১৯৫৬ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পায়। ১৯৭৬-’৭৭ সালে পায় উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। জেলার নারী শিক্ষার প্রসারে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রীর সংখ্যা ১৭৩৭ জন। রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্কুল পড়ুয়ারা জায়গা করে নেয়। শুধু পঠনপাঠনের মধ্যেই স্কুলের শিক্ষাদান থেমে নেয়। পড়ুয়াদের সার্বিক উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির কৃতী পড়ুয়াদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়ারা মাতৃভাষা দিবস পালন করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জঙ্গলমহলের লোক সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। 


    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পুষ্পলতা বারুই মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গত ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসকে মাথায় রেখেই এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পুরস্কার বিতরণের মূল লক্ষ্য ছাত্রীরা যাতে সকলের সামনে স্বীকৃতি অর্জন করুক। সেইসঙ্গে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। জঙ্গলমহলের লোক সংস্কৃতিকে স্কুল পড়ুয়ারা নৃত্যগীতের মধ্যে এদিন তুলে ধরে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশ ঘটানো।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)