সংবাদদাতা, মানকর: ভোটের সময় হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকার। ভোট মিটলেই আর তা নিয়ে উচ্চবাচ্য হয় না। মঙ্গলবার রাজবাঁধে মতুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে এভাবেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের ভূমি ও ভূমিসংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সরকার। মতুয়া সম্প্রদায়ের তরফে অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বপন গোঁসাইও একই অভিযোগ তোলেন।
মঙ্গলবার মতুয়াদের এই অনুষ্ঠানে জেলা তথা রাজ্যের নানা জায়গা থেকে মানুষ এসেছিলেন। সেখানেই রঞ্জিতবাবু বলেন, উদ্বাস্তু, মতুয়া ও নমঃশূদ্র মানুষের জন্য রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর মাধ্যমে তাঁদের নানা সাহায্য করা হচ্ছে। সরকারের তরফে বহু মানুষকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা ধরে ধরে ভূমিহীন মানুষদের জন্য সরকার স্বীকৃত কলোনি তৈরি হয়েছে। হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ভোটের আগে ওরা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বললেও পরে আর কিছু করে না।
উদ্যোক্তা স্বপন গোঁসাই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। মতুয়া ধর্মকে স্বতন্ত্র ধর্মের স্বীকৃতি, পুরোহিত ও ইমামভাতার মতো মতুয়া দলপতি ও সাধু গোঁসাইদের জন্য মাসিক ভাতার দাবি তোলেন। মতুয়াদের পাট্টা দেওয়া, রাস্তা, বিদ্যালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবিও পেশ করেন। ১৫ মার্চের মধ্যে দাবি না মানা হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মোদি সরকার আমাদের নিয়ে খেলছে। আমাদের ভোটে নির্বাচিত সরকার আমাদেরই নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে বলছে। আমি নাগরিক না হলে ভোটাধিকার কী করে পেলাম? কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কথা একবারও ভাবেনি। ঠাকুরবাড়ির শান্তনু ঠাকুর সাংসদ হলেও মতুয়াদের নিয়ে কোনও কথা বলেন না। রাজ্য সরকার মতুয়াদের কথা ভাবছে। পাঠ্যপুস্তকে হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাঁর জন্মদিবসে ছুটি ঘোষণা সহ একাধিক পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন।-নিজস্ব চিত্র
তিনি আরও বলেন, পূর্বপুরুষদের নামকে সামনে রেখে বেশ কয়েকজন সাংসদ, বিধায়ক বা মন্ত্রীপদ লাভ করছেন। মতুয়া সমাজের ভাবনা থেকে তাঁদের দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।