• স্থায়ীভাবে ঘাঁটি দামালদের, জঙ্গলমহলের তিন জেলায় প্রচুর গাছ লাগাবে বনদপ্তর
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: আগে দলমার দামালরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এরাজ্যের জঙ্গলমহলে আসত। কিছুদিন ‘ছুটি’ কাটানোর পর তারা সদলবলে ফের ফিরে যেত। কিন্তু, বর্তমানে এরাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পাকাপাকিভাবে ঘাঁটি গেড়েছে হাতির পাল। বর্তমানে জঙ্গলমহলের তিন জেলা বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৮০টি হাতি রয়েছে। এত বেশি হাতির খাওয়ার মতো গাছপালা জঙ্গলমহলের নির্দিষ্ট কোনও জঙ্গলে নেই। এই পরিস্থিতিতে হাতির উদরপূর্তির জন্য বনদপ্তরকে বাজার থেকে সব্জি ও শাকপাতা কিনতে হচ্ছে। ওই খরচ টানা জোগানো সম্ভব নয় বুঝে এবার জঙ্গলমহলে হাতির খাবারের উপযোগী গাছ রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। 


    রাজ্যের মুখ্য বনপাল(কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলান ডাইভাল বলেন, আমরা জঙ্গলমহলের তিন জেলায় ক্লাস্টার পদ্ধতিতে হাতির খাদ্যের উপযোগী বৃক্ষ রোপণ করতে চলেছি। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সাধারণত হাতির পাল ঘাঁটি গেড়ে থাকে। ফলে ওই তিন জেলার সাতটি জায়গায় কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বাঁশ, ডুমুর, চাকলদা, পিয়াল, গামার প্রভৃতি গাছ লাগানো হবে। প্রতিটি জায়গায় দু’হাজার হেক্টর জমিতে বৃক্ষরোপণ করা হবে। ফলে তিন জেলা মিলিয়ে আমরা মোট ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ওইসব গাছ লাগাব। বাঁকুড়ায় সবচেয়ে বেশি তিনটি এবং ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দু’টি করে ক্লাস্টার থাকছে। বর্তমানে জঙ্গলমহলের ওই তিন জেলায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ও দলছুট অবস্থায় মোট ১৮০টি হাতি রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)