কান্দিতে রাজ্য সড়কের পাশেই ৬টি সব্জি বাজার, দুর্ঘটনার শঙ্কা
বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: কোনও গ্রামীণ সড়ক নয়, বিভিন্ন রাজ্য সড়কের ঠিক পাশেই বসছে সব্জি বাজার। কান্দি মহকুমায় রাজ্য সড়কের ধারে ছ’টি এমন বড় বাজার রয়েছে। ফলে প্রায়দিনই ওই সমস্ত বাজারে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। গাড়ি চলাচলের জেরে ধুলো ওড়ায় সব্জি খারাপ হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কান্দির মহকুমা শাসক উৎকর্ষ সিং বলেন, রাস্তার ধার থেকে ওই সমস্ত বাজার যাতে সরিয়ে নেওয়া যায়-তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হবে। কান্দি মহকুমার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ব্যস্ত বহরমপুর-সুলতানপুর রাজ্য সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ওই রাস্তার জীবন্তি, গোকর্ণ ও পুরন্দরপুর গ্রামের সব্জি বাজার এই সড়কের পাশেই বসে। প্রতিটি সব্জি বাজার ১০০মিটারের বেশি এলাকাজুড়ে রয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। আবার শেরপুর, নগরগ্রামে ফরাক্কা-হলদিয়া বাদশাহী সড়কের ধারে বাজার বসে। কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের সালার স্টেশনের কাছেও রাস্তার পাশে প্রতিদিন সব্জি বাজার বসে। গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাকর ধর বলেন, প্রায় দু’দশক ধরে রাস্তার পাশে সব্জি বাজার বসছে। প্রশাসনের তরফে কখনও বাজার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। ফলে মাঝেমধ্যেই সড়কে দুর্ঘটনা লেগে থাকে। এখানে দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুও হয়েছে। জীবন্তি গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, এমনভাবে বাজার বসে যে, সতর্ক না থাকলেই দুর্ঘটনা নিশ্চিত। সম্প্রতি দুর্ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রায়দিনই অটো-টোটোর সংঘর্ষে মানুষ জখম হচ্ছেন।কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, রাস্তার পাশে সব্জি বাজার বসলে স্বাভাবিকভাবেই ধুলোবালি খাবারে মিশবে। ফলে অসুস্থতা বাড়বে। সমস্যা সমাধানে প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতিগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে। পুরন্দরপুর গ্রামের সব্জি ব্যবসায়ী আতাউর শেখ, রমজান শেখ জানান, রাস্তার উপর এভাবে বেচাকেনা করতে ভালো লাগে না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাজারে আসতে হয়। কিন্তু এলাকার অন্যত্র বাজার নেই। ফলে বাধ্য হয়েই এখানে আসতে হয়। অন্যান্য বাজারের সব্জি বিক্রেতারাও একই কথা জানান।