নতুন করে খাল খনন আটকাতে প্রতিবাদ কমিটির মিছিল ঘাটালে
বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য নতুন করে খাল খনন করা যাবে না। দাসপুরের উপর নতুন খাল খননের প্রতিবাদে মিছিল করল ‘চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদ কমিটি’। মঙ্গলবার ওই কমিটির পক্ষ থেকে কয়েকশো মানুষ ঘাটাল-মেচোগ্রাম রাস্তার উপর মিছিল করেন। কমিটির সভাপতি হরেকৃষ্ণ জানা বলেন, দাসপুর শস্য-শ্যামলা এলাকা। প্রত্যেকটি জমিই উর্বর। এখানে মানুষজন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই এলাকায় নতুন করে খাল কাটতে দেওয়া হবে না। খাল কাটলে এই এলাকাতেও প্রত্যেক বছর বন্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই আমাদের এই প্রতিবাদ। এদিকে সেচমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, আমজনতা বিষয়টি না বুঝেই আন্দোলন করছেন। ওই খালটি কাটা হলে দাসপুর এলাকায় বন্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। বরং সরকার খাল কাটতে জমি নিলে বাজার মূল্যের চেয়ে দু’-আড়াই গুণ বেশি দামে তা কিনে নেবে।
সাতের দশকে দাসপুর-২ ব্লকের গোপীগঞ্জ এলাকার রূপনারায়ণ নদ থেকে দাসপুর-১ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত একটি খাল খনন করা হয়। বন্যার সময় জলের চাপ কমাতে দাসপুর-১ ব্লকের কংসাবতী নদীর সঙ্গে খালটি সংযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনও অজানা কারণে তা করা হয়নি। খালটি বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত খনন হয়ে পড়ে রয়েছে।
নয়া ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কমিটি বৈকুণ্ঠপুর থেকে ওই খালটি নতুন করে খনন করবে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ৮০০ মিটার দীর্ঘ খালটি এবার কংসাবতীর সঙ্গে সংযোগ করা হবে না। বরং দাসপুর-১ ব্লকের গুড়লিতে শিলাবতী নদীর সঙ্গে স্লুইসগেটের মাধ্যমে সংযোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। খালটি খনন করা হলে, বন্যার সময় ঘাটাল ব্লক ও শহরের জলের চাপ অনেকটাই কমবে। সেই খালটি যাতে নতুন করে কাটা না হয়, তারই প্রতিবাদে এদিনের মিছিলটি করা হয়।-নিজস্ব চিত্র