• কাপাসডাঙায় চারশো’র বেশি প্রসূতিকে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: উদ্দেশ্য শিশু বান্ধব পঞ্চায়েত গড়ে তোলা। আর সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার কাপাসডাঙা পঞ্চায়েত ভবনে চার শতাধিক প্রসূতিকে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হল। সেই সঙ্গে নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে পঞ্চায়েতের সভাকক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কিভাবে নারী ও শিশুদের উন্নয়ন ঘটিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেই বিষয়ে এদিন যেমন বিস্তারিত আলোচনা করা হয় পাশাপাশি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করনীয় বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়। উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খান, তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরা। আলোচনা সভা শেষে পঞ্চায়েত ভবনে নবনির্মিত মাদার কেয়ার রুমের উদ্বোধন করা হয়।  বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, উন্নয়ন বলতে শুধু রাস্তাঘাট, নিকাশি নালা বা বহুতল নির্মাণ নয়। প্রকৃত উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। তাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে। কাপাসডাঙা পঞ্চায়েত এই কাজে এগিয়ে এসেছে। এই কারণে প্রধান কবিরুল ইসলাম ও তার পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, মা-বোনেরা সুস্থ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী থাকলে ভালো থাকব আমরা, ভালো থাকবে সমাজ। মা-বোনেদের ভালো রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারের বাজেটে বরাদ্দ মোট অর্থের ৫০ শতাংশ নারী ও শিশু উন্নয়নে খরচ করা হবে। এটা সারা দেশের কোনও রাজ্যে নেই। ২০১১ সালে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৬৮ শতাংশ। এখন বেড়ে হয়েছে ৯৯ শতাংশ। আগে ৬৬ শতাংশ শিশু টিকা নিত। এখন সংখ্যাটা ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে। শিশুদের সুস্থ রাখতে হলে মায়েদের সুস্থ রাখতে হবে, সেই ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংসদ আবু তাহের খান পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটা ভালো উদ্যোগ। বাল্য বিবাহ রোধে আলোচনা হয়েছে। অনেক সময় অভিভাবকরা গোপনে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেন। সেক্ষেত্রে ওই নাবালিকা ১৮ বছরের আগে গর্ভধারণের না করে সেই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। কারণ তার আগে সন্তানের জন্ম দিলে মা ও শিশুর শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। প্রধান কবিরুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুও যেন অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে তার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। এই কারণেই পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। -নিজস্ব
  • Link to this news (বর্তমান)