• কোর্টের নির্দেশ হাতে পিবিইউতে সাফেলি
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: আদালতের আদেশে মঙ্গলবার কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কাজে যোগ দিলেন সাসপেন্ড হয়ে থাকা রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি। ২০২৪ সালের ১০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় তাঁকে সাসপেন্ড করেছিলেন। তারপর থেকেই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায় হাতে পেতেই তিনি কাজে যোগ দিলেন। 


    মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আব্দুল কাদের সাফেলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান। ফুলের তোড়া দেওয়া হয়। মিষ্টি মুখ করানো হয়। একাংশ শিক্ষাকর্মী আবার পটকাও ফাটান। 


    উল্লেখ্য, পিবিইউতে নিখিলচন্দ্র রায় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ও রেজিস্ট্রারের মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। তারই চূড়ান্তরূপ ছিল রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করা। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। এদিকে, স্থায়ী রেজিস্ট্রার সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় ওই জায়গায় অন্য একজনকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও কিছুদিন পর সেই দায়িত্ব থেকে সরে যান। এরপর আরও একজন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিও বেশিদিন চেয়ারে ছিলেন না। 


    এরপর অন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি ছ’মাস কাজ চালান। তাঁরও কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও চলে যান। ফিনান্স অফিসারের কার্যকালের মেয়াদও ফুরোয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। এরপর উচ্চ শিক্ষাদপ্তর থেকে ফিনান্স অফিসারের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পাশাপাশি অন্য একজনকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। এরই মধ্যেই হাইকোর্টের মামলার রায় হাতে পান আব্দুল কাদের সাফেলি। আর তা হাতে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কাজে যোগ দিলেন তিনি। 


    আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আমি কাজে যোগ দিয়েছি। ওই রায়ে আমাকে সোমবার থেকেই কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। মামলা এখানেই শেষ। উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশিকাতেই বলা আছে, স্থায়ী রেজিস্ট্রার কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি থাকবেন। আমি স্থায়ী রেজিস্ট্রার। যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁর আর দায়িত্ব থাকল না। আমি জ্ঞানতো কোনও দোষ করিনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ বিরোধী কোনও কাজ করিনি। আমার নিজের উপর, বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। এতদিন বাইরে ছিলাম। সকলের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে যে কাজগুলি ভালো হবে সেগুলিই আগে করব। 


    তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি জ্যোর্তিময় ভৌমিক বলেন, রেজিস্ট্রার সগৌরবে ফিরে এসেছেন। এদিন ওঁকে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে। ফুল দেওয়া হয়েছে। আমরা পটকা ফাটিয়েছি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)