নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: স্কুলে আসার পথে পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে হুমকি দিয়েছে কয়েকজন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাদের স্কুলে যেতে বারণ করা হয়। এরপরেই এক ছাত্রের হাতে চাকু দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে মঙ্গলবার ইটাহারের রাজগ্রাম হাইস্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পুলিসকে বিষয়টি জানানো হবে। যদিও পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যে ছাত্রের হাতে চাকুর আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। ওই ছাত্রের বাঁ হাতে সামান্য আঁচড়ের দাগ আছে। ঘটনা প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়েনি।। ঘটনাটির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ যে ছাত্রকে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার ক্ষত দেখে সেটা মনে হচ্ছে না। ঘটনাস্থলের আশেপাশের লোকজনের বক্তব্য, তেমন কোনও উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটেনি এদিন। আঘাত পাওয়া পড়ুয়ার বাবা শাহাবুদ্দিন হোসেনের অভিযোগ, কয়েকদিন আগের একটি বিবাদের জন্যই আমার ছেলে ও আমাদের এলাকার কয়েকজন পড়ুয়াকে স্কুলে যাওয়ার পথে আটকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ঘটনাস্থল স্কুল থেকে প্রায় এক কিমি দূরে। আমার ছেলেকে চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। স্কুলের টিআইসি তাপস সরকারের মন্তব্য, আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের পথ আটকানোর মতো অভিযোগ এই প্রথম। স্কুলের বাইরে ঘটেছে বলে কিছু জানতাম না। আগে স্কুল শুরু ও ছুটির পর রাস্তায় পুলিসের টহলদারি চলত। বর্তমানে হয়তো তেমন নজরদারি থাকে না। ছাত্রছাত্রীদের হুমকির ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিসকে জানাব।