সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানে পালা করে চালু করে রাখতে হবে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লিই
বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, মালদহ: ইংলিশবাজারের সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানে পালা করে চলবে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লিই। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকে এবিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে মালদহ জেলা পরিষদ। একই সঙ্গে সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানে তৃতীয় একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রাথমিক পর্যায়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে। একসঙ্গে অন্তত দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি কাজ করলে তাঁদের সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন মালদহের অনেক বাসিন্দাই।
বর্তমানে সাদুল্লাপুরে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি থাকলেও একটিই ব্যবহৃত হয়। অপর চুল্লিটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকতে থাকতে খারাপ হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে চাপ পড়ছিল একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির উপরেই। সম্প্রতি ওই চুল্লিটিও বিকল হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানে নিকটজনের শেষকৃত্য করতে আসা অনেক মানুষ। পুরনো পদ্ধতিতে কাঠেই শবদাহ করতে হয় তাদের। দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় শ্মশানে। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে তৎপর হয় মালদহ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার লোকেদের ডেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চুল্লিটিকে মেরামত করা হয়।
একই সঙ্গে সারিয়ে নেওয়া হয় দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পড়ে থাকা অপর বৈদ্যুতিক চুল্লিটিকেও। এরপরই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে মালদহ জেলা পরিষদ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, পালা করে দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লিই ধারাবাহিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানে প্রথম বৈদ্যুতিক চুল্লি বসেছিল প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর উদ্যোগে। এই শ্মশানের পাশ দিয়ে আদি গঙ্গা বয়ে গিয়েছে। ফলে মালদহের বাসিন্দা প্রায় সকলেই চান সাদুল্লাপুরেই তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হোক। কালিয়াচক-১ ব্লকে অপর একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। কিন্তু সেটির ব্যবহার খুব কমই হয় বলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের হাতে ওই চুল্লির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শেখ আনসার বলেন, সম্প্রতি সাদুল্লাপুরের একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি খারাপ হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অপর বৈদ্যুতিক চুল্লিটি আগে থেকেই বিকল হয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে আমরা স্পষ্ট বলেছি, দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লিই পালা করে চালু রাখতে হবে। তৃতীয় একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কালিয়াচকের বৈদ্যুতিক চুল্লিটি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাঁদের হাতে হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।