অভাবী বিক্রি রুখতে এবার চাষির থেকে আলু কিনবে রাজ্য সরকার
বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, এজন্য রাজ্য কুইন্টাল পিছু ৯০০ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ঘোষণা করছে। এতে অভাবী বিক্রি বন্ধ হবে। সাম্প্রতিক বৃষ্টির পর, বারণ করা সত্ত্বেও ডিভিসি জল ছেড়েছে। তাতে আলুর ক্ষতি হয়েছে কিছু জায়গায়। রাজ্য ইতিমধ্যেই চাষির কাছ থেকে ওই আলু কিনতে শুরু করেছে। সেসব ‘সুফল বাংলা’ মারফত বেচা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বাংলা শস্য বিমার ক্ষতিপূরণও পাবেন। মোট ক্ষতিপূরণ মিলবে ৩২১ কোটি টাকা।
শীতের আবহাওয়া অনুকূল ছিল। তার জন্যই রাজ্যে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। একেবারে শেষলগ্নে দু’দিনের বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তা বাদ দিলে আলুর ফলন এবার ব্যাপকই হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ছোট চাষির লোকসান রুখতে এমএসপি ঘোষণাসহ আলু কেনা হচ্ছে। হিমঘরে ছোট চাষির আলু রাখার সুবিধা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর। হিমঘরগুলির ৩০ শতাংশ জায়গা ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রকৃত আলু চাষিদের জন্যই সংরক্ষিত করা হয়েছে। রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৮২ লক্ষ টন বা ১৬ কোটি প্যাকেট রাখার ব্যবস্থা আছে। এবার মোট উৎপাদন ১ কোটি টনের বেশি হবে! আগামী কয়েকমাস রাজ্যবাসী খাওয়ার পর উদ্বৃত্ত আলু হিমঘরেই ঢুকবে। হিমঘরে মজুত শুরু হবে ১ মার্চ।
কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি নতুন জ্যোতি আলু চাষিরা ৬ টাকায় বেচছিলেন। এখন তা ৮ টাকার আশপাশে। আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন জানাচ্ছে, হিমঘরে মজুত শুরু হলে দামের ওঠা-নামা চলবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পরই চাষির আলু ক্রয় পদ্ধতির বিষয়টি পরিষ্কার হবে। গত কয়েকবছর হিমঘর মালিকদের মাধ্যমে নির্ধারিত দামে চাষির থেকে আলু কিনেছিল রাজ্য। তার জন্য সমবায় ব্যাঙ্কঋণের ব্যবস্থা করা হয়। হিমঘর থেকে বেরনোর সময় ওই আলু কী দামে কেনা হবে, তাও আগাম ঠিক করে দিয়েছিল সরকার।