নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমবার খুব ভোরে ওড়িশা উপকূল থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দূরে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। রাজ্যের উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় পড়েছে তার কিছুটা প্রভাব। কোনও কোনও স্থানে কিছু মানুষ ভূকম্পন অল্প অনুভব করেছেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.১। যদিও আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগ এর তীব্রতা ৫.৩ বলে উল্লেখ করেছে। বঙ্গোপসাগরের তলদেশ থেকে উৎসস্থলের গভীরতা ৯৬ কিমি বলে উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। আমেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগের মতে, সমুদ্রতল থেকে উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিমি। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২২৯ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়। রিখটার স্কেলে ৫ তীব্রতা হলে তা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বলে ধরা হয়। কিন্তু স্থলভূমি থেকে অনেকটা দূরে সমুদ্রের গভীরে উৎসস্থল হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।
সমুদ্রের তলদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে সুনামির আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে সমুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে উঠে উপকূল এলাকায় ঢুকে বিধ্বংসী কাণ্ড ঘটায়। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এরকম সুনামিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ ভারত উপকূলে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওইসময় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে যে ভূকম্প হয়েছিল তার তীব্রতা ছিল ৯-এর বেশি। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর শিখেন্দ্র দে জানান, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে অত তীব্র মাত্রার ভূকম্পন হওয়ার আশঙ্কা বিশেষ নেই। এখানে অনেক চ্যুতি বা ফল্ট আছে, যা থেকে মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হতে পারে।