• মোচ্ছবে ব্যস্ত  চণ্ডীতলার সেই  পুলিস অফিসার  সাসপেন্ড
    বর্তমান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: আগেই পদস্থ পুলিস কর্তার নেতৃত্বে গড়া হয়েছিল বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। সেই কমিটির তদন্তের জেরেই শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড করা হল চণ্ডীতলা থানার প্রাক্তন আইসি জয়ন্ত পালকে। ডিউটিরত অবস্থায় নিজের এলাকা ছেড়ে হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকায় গিয়েছিলেন জয়ন্ত পাল। সেখানেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পাশাপাশি, তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে এক তরুণীকে পাওয়া যায়। গাড়িতে মদের বোতল, সেক্স টয় মিলেছিল। সেই ঘটনার জেরে হুগলি গ্রামীণ পুলিস তো বটেই, রাজ্য পুলিসের অন্দরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর সাসপেনশনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রাজ্য পুলিসের এডিজে (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম ওই নির্দেশ জারি করেছেন।


    নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই পুলিস অফিসারকে গ্রামীণ পুলিসের সদর দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে কর্তব্যে অবহেলা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার জেরেই জয়ন্ত পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে সেদিনের ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত এখনও হয়নি। বিশেষ করে ওই পুলিস অফিসারের সন্দেহজনক গতিবিধি ও ঘটনার দিনের একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে হুগলি গ্রামীণ পুলিস। পাশাপাশি, জয়ন্তবাবুর গুলিবিদ্ধ হওয়া, তাঁর গাড়ি থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা সহ একাধিক বিষয় তদন্ত করছে হাওড়া সিটি পুলিসও। হুগলি গ্রামীণ পুলিসের কর্তারা এদিনও জানান, তদন্ত চলছে।


    ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে হাওড়ার শিবপুর থানার আন্দুল রোড থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চণ্ডীতলা থানার তৎকালীন আইসিকে। ঘটনার সময় ওই গাড়িতে এক তরুণী ও একজন রূপান্তরকামী সহ একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে ছিলেন তিনি। রাতেই তাঁকে এক স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিবপুর থানার পুলিস তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক বিস্ময়কর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, সাঁকরাইলে ‘বান্ধবী’র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জয়ন্ত। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ির ভিতরে তিনি বান্ধবীর সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ান। তার আগে তিনি বহু টাকার শপিং করেছিলেন। বচসার মধ্যেই তাঁরা নেতাজি সুভাষ রোডের ঘোষপাড়া এলাকায় এসেছিলেন। সেখানে ওই তরুণী সহ বাকিরা নেমে পড়েন। এলাকার সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, একটি গলি থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ির কাছে ওই অফিসার লুটিয়ে পড়ছেন। অভিযোগ, বান্ধবীকে ভয় দেখাতে নিজেকে গুলি করেছিলেন ওই পুলিস অফিসার। রাতারাতি হুগলি গ্রামীণ পুলিস অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ বিভাগীয় তদন্ত কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই জয়ন্তকে সাসপেন্ড করা হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)