লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করার দাবি অধীরের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করার দাবি তুললেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন- ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক সরকার এই পরিমান টাকা গরিব মা-বোনেদের দিতে পারলে, এই রাজ্যের সরকার কেন পারবে না? মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এই দাবী তোলেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ও এই দাবি প্রকাশ্যে তুলেছিলেন অধীর চৌধুরী।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটা তো দয়ার কিছু নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হচ্ছে সরকারি টাকা। আপনারা আমরা যে ট্যাক্স দিচ্ছি, সেই টাকাটাই বাংলার মা-বোনেদের দিচ্ছে। এতে আমাদের আপত্তির কিছু নেই। ভারতবর্ষের বেশিরভাগ রাজ্যেই এই প্রকল্প চালু আছে ভিন্ন ভিন্ন নামে। আমাদের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আড়াই হাজার কেন করা হবে না? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এই মুহূর্তে বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করা দরকার। তার কারণ যেভাবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, জীবনধারণের দাম বাড়ছে, তাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আরও বাড়ানো উচিৎ। সেটাকে আড়াই হাজার করা উচিৎ।
ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকে আছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে আছে। কেন বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হাজার-বারোশোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে? কেন বাড়িয়ে সেটা আড়াই হাজার করা হবে না? আপানার দলের নেতা-মন্ত্রী-সান্ত্রী তাদের রেট বাড়ানো হচ্ছে, তাদের দরদাম বাড়ানো হচ্ছে, তাদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে, আপনি ডাক্তারদেরও বেতন বাড়িয়ে দিলেন, তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে গরিব মা বোনেদের আড়াই হাজার টাকা অনুদান আপনি কেনো দেবেন না? আমার দাবী এটা। বাংলায় মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ভাঙার নামে যে প্রকল্প দেয় অনুদানের, সেই অনুদানের প্রকল্প সরকারি টাকায় দেওয়া হয়, তৃণমূলের ফাণ্ড থেকে নয়। সেই অনুদানের প্রকল্প হাজার-বারোশো নয়, আড়াই হাজার টাকা করা জরুরি। যদি ডাক্তাররা পেতে পারে, তাহলে বাংলার গরীব মা-বোনেরা পাবে।’
এ নিয়ে সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান নেওয়ার বহুত লোক রয়েছে। মানুষের অভাব-দারিদ্র রয়েছে। আর মমতা ব্যানার্জী তো কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য করছেন না। আমাদের টাকাই তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে তাদের দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করছেন। এটা বলতে পারেন, তাদের বেইজ্জত হতে অসুবিধা নেই। তাদের লুঠতে অসুবিধা নেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মনে করে বাংলা মা-বোনেদের পয়সা দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা যাবে। পয়সা দিয়ে খুশি করে রাখা যাবে। কিন্তু সেখানেও আমার বক্তব্য, যদি দিতেই হয় আড়াই হাজার টাকা নয় কেন?’