পানাগড়ের ঘটনায় সাদা রঙের গাড়ির চালক বাবলু ও তাঁর বাকি চার সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর এক সহকর্মী (ঘটনার দিন গাড়িতে ছিলেন) ও পরিচিতদের কাঁকসা থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা।
বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ কাঁকসা থানায় তদন্তে আসে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। থানায় উপস্থিত হন এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। অন্যদিকে এ দিন সকালেই চন্দননগর থেকে তিন জন থানায় উপস্থিত হন। তিন জনের মধ্যে একজন সেই দিন সুতন্দ্রার গাড়িতে ছিলেন এবং সুতন্দ্রার পরিচিত আরও দু’জনকে ডেকে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই সিআইডি ইনস্পেক্টর তাপস পাল-সহ চার সদস্যের একটি টিম কাঁকসা থানায় হাজির হয়। বাজেয়াপ্ত করা দুটো গাড়িতে ঢুকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকেরা। তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি ইনস্পেক্টর। যদিও, ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রবিবার চন্দননগর থেকে নিজের ডান্স গ্ৰুপের সদস্যদের নিয়ে গয়ায় যাচ্ছিলেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁদের গাড়িকে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে একটি সাদা ক্রেটা গাড়ি ধাওয়া করে। ওই গাড়ি থেকে মদ্যপ যুবকরা ‘ইভটিজ়’ করছিল বলেও অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পরে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রীও ইভটিজ়িংয়ের অভিযোগ করেছেন। যদিও অভিযোগপত্রে ইভটিজ়িংয়ের কোনও উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।