• বাল্ক, কমার্শিয়াল কানেকশনে জলের মিটার বসাবে পুরসভা
    এই সময় | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: জলের মিটার চালু হচ্ছে মহা‍নগরে। বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনের ক্ষেত্রে মিটার লাগাবে কলকাতা পুরসভা। মঙ্গলবার পুরসভার বাজেট অধিবেশনে এ কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতার কিছু এলাকায় জলের মিটার লাগানোর ব্যবস্থা অতীতে হলেও সে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। তবে এ বার বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনে জলের মিটার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

    বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশন আসলে কী? সাধারণত বহুতল আবাসনে জলের সংযোগকে বাল্ক কানেকশন ধরা হয়। আর কমার্শিয়াল কানেকশন হলো ব্যবসা ও বাণিজ্যের কাজে জলের সংযোগ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে জল সরবারহের খরচ অতীতের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে। তাই বাল্ক ও কমার্শিয়াল কানেকশনে মিটার বাধ্যতামূলক করা ছাড়া আর উপায় নেই।

    জলের অপচয় রুখতে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তর কলকাতার টালা এবং দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি সংলগ্ন এলাকায় এর আগে মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করেছিল পুরসভা। তবে অনেকেই জলের মিটারে আপত্তি করেছেন। কোথাও মিটার চুরি যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। জলের মিটার বসাতে গিয়ে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের। পুরকর্তাদের বক্তব্য, জলের অপচয় রুখতে মিটার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই মিটার নিয়ে আমজনতার ধারণায় সমস্যা আছে। তাঁরা মনে করেন, বাড়িতে জলের মিটার লাগানো মানেই ইলেকট্রিকের মিটারের মতো মাশুল গুনতে হবে। তাই অনেকেই জলের মিটারে সম্মতি দিতে চান না।

    নর্দমার জল শোধনের প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে পুর–অধিবেশনে পুরবোর্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন বিরোধীরা। নর্দমার জল শোধন করে তা গাড়ি ধোয়ায় এবং গাছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পুরবোর্ড। এ নিয়ে খড়গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেছেন পুরসভার নিকাশি বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু বিজেপি নেতা তথা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সজল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের আশঙ্কা, এক দিন এই নর্দমার জল শহরে পানীয় হিসেবেও ব্যবহার করা হতে পারে।’ সজলের এই কথা শুনে শাসকদলের কাউন্সিলাররা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলে ওঠেন, ‘আপনি কিছু জানেন না। এই প্রকল্প নিয়ে আমরা খড়গপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাঁদের পরামর্শ নিচ্ছি।’

  • Link to this news (এই সময়)