চারটি চোখ, দুটি মুখ। অদ্ভুত দর্শনের এক গো-শাবকের জন্ম মেদিনীপুরে। সেই গো-শাবককে পুজো করতে শুরু করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার মহাশিবরাত্রির দিনেই এই গো-শাবকের জন্ম হওয়ায় বিষয়টিকে ‘মহাজাগতিক’ বলে ব্যাখ্যা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। জেনেটিক সমস্যার কারণেই এটা হয় বলে দাবি করলেন পশু চিকিসৎক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার রাধাকান্তপুর এলাকায় রামচন্দ্র মাইতি’র বাড়িতে গৃহপালিত গাভী রয়েছে। সেই গাভী এ দিন একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। জন্মের পর দেখা যায় গো-শাবকটির দুটি মুখ, চারটি চোখ রয়েছে। অদ্ভুত দর্শনের এই গো-শাবকের জন্ম হওয়ার খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। বাছুরটিকে দেখতে তাঁর বাড়িতে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পেশায় কৃষক রামচন্দ্র বলেন, ‘আজ সকালে গভীর প্রসব করার কিছু সমস্যা হচ্ছিল। স্থানীয় এক পশু চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনিই গাভীর প্রসবে সহায়তা করেন।’ শিব চতুর্দশীর দিন এমন একটি গো-শাবক জন্ম নেওয়ার জন্য অনেকেই শাবকটিকে পুজো করা শুরু করেন।
জেলার বিশিষ্ট পশু চিকিৎসক তুষার কান্তি সামন্ত বলেন, ‘জেনেটিক সমস্যার কারণে গবাদি পশুদের ক্ষেত্রে এমনটা প্রায়শই দেখা যায়। একে মামিফয়েড ফিটাস (Mummified Fetus) বলে। গর্ভধারণের সময় অস্বাভাবিক জিনের কারণে এরকম ধরনের শাবক জন্ম নেয়। শতকরা ২-৩ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনটা হয়। এই ধরনের শাবকরা অনেক সময়েই বাঁচে না। জন্মের সময়ে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মারা যায়।’