আইসি’র উদ্যোগে থানাতেই চার হাত এক হল, নতুন ঘর পেলেন সিভিক ভলান্টিয়ার ...
আজকাল | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইসি’র উদ্যোগে থানাতেই চার হাত এক হল। উদ্যোগ নিলেন আইসি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। জানা গেছে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল চাপড়ার রাজিবপুরের বাসিন্দা মামণি ঘোষের। পাত্র অর্জুন ঘোষও ছিলেন একই গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু আচমকা অর্জুনের প্রাণ কেড়ে নেয় মারণ রোগ ক্যান্সার। মুহূর্তের মধ্যেই সামনের দিনগুলো অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল মামণির। ছেলেকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন।
স্বামীর মৃত্যুর প্রায় ছয় মাস পর চাপড়া থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজে যোগ দেন মামণি। তাতে আর্থিক সমস্যা কাটলেও সঙ্গীহীন জীবন বড় দুঃসহ হয়ে উঠেছিল। একদিকে ছেলেকে সামলানোর দায়িত্ব। অন্যদিকে কাজ। বিষন্ন মামণির এই অবস্থা চোখ এড়ায়নি চাপড়া থানার আইসি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়ের। একদিন সরাসরিই তিনি মামণিকে বলেন নতুন জীবনসঙ্গী খোঁজার। কিন্তু মামণি বিয়েতে রাজি ছিলেন না। তখন আইসি নিজেই দায়িত্ব নেন পাত্র খোঁজার। আচমকাই পুলিশকর্তার মনে পড়ে থানার আরেক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার রথীন হালদারের কথা। রথীনেরও মা–বাবা নেই। এরপরই ঘটকালি শুরু করেন আইসি। অবশেষে দু’পক্ষকে রাজি করান। বিয়ের খরচ থানার সবাই মিলে ভাগ করে নেন। রীতিমতো অতিথি আপ্যায়ন করে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয় নিমন্ত্রিতদের। চাপড়া থানাতেই রেজিস্ট্রি করে মামণি ও রথীনের আইনি বিয়ে সম্পন্ন হয়।