নবগ্রামের ছোট্ট ঘর থেকে উত্থান, মহাকাশ গবেষণায় একগুচ্ছ বিশেষ অবদান গৌতম চ্যাটার্জির
আজকাল | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র ভিজিটিং প্রফেসর। অধ্যাপনা করেছেন খড়গপুর ও বেঙ্গালুরু আইআইটিতে। উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে নাসা'র একাধিক মিশন, যেমন অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, প্ল্যানেটরি সায়েন্স এবং আর্থ অবজার্ভেশনস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে। গত ২০২৩ সালে তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে পিপলস লিডারশিপ এওয়ার্ড নাসা-এ সম্মানিত হয়েছেন কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা গৌতম চ্যাটার্জি।
সমগ্র বিজ্ঞান জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র গৌতম ইতিমধ্যেই জলের রং নির্ণয় করতে পারে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। তাঁর যন্ত্র ব্যবহার করে অনায়াসেই জানা যাবে, অন্য কোন গ্রহে জল সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। পৃথিবীর বাইরে আর কোন গ্রহে প্রাণের সঞ্চার রয়েছে, সেই তথ্য পাওয়া যাবে তাঁরই আবিষ্কারের মাধ্যমে।
নবগ্রামের ছোট্ট ঘর থেকে শুধু আকাশ নয়, মহাকাশ ছুঁয়েছেন ডঃ গৌতম চ্যাটার্জি। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে বর্তমানে বিজ্ঞানের শীর্ষ স্থান নাসায় কর্মরত। একাধিক পুরস্কার প্রাপ্তি ঘটেছে তাঁর কর্ম জীবনে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠ থেকে স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে শিবপুর বিই কলেজে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তার করেন। সেখান থেকে আমেরিকা গিয়ে ডক্টরেট।
গত ১৪ বছর ধরে তিনি কর্মরত রয়েছেন ন্যাশনাল এয়ারনটিক্স স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা-তে। সম্প্রতি হুগলির কোন্নগরে বাড়ি ফিরেছেন গৌতম। ছুটি পেলেই তিনি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সোজা চলে আসেন কোন্নগরের বাড়িতে। বিশ্ববরেণ্য একজন মানুষ, তবু আজও একদমই সাদামাটা তাঁর জীবনযাপন। সেই পাড়ার চায়ের দোকানে সকলের সঙ্গে আড্ডা আর সাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়া। তাই তিনি আজও সেই সমস্ত মানুষের অনুপ্রেরণা, যাঁরা ছোট্ট ঘরে থেকে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস দেখান। ছবি: পার্থ রাহা।