বিক্রম দাস: মঙ্গলবার সাতসকালে আহিরীটোলায় ব্যাগবন্দি দেহ লোপাট করতে গিয়ে আটক দুই মহিলা। ঘটনার তদন্তে পরতে পরতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরই মধ্যে শহরে ফের উদ্ধার মৃতদেহ।
টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর কাছে উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে টেকশিয়ান স্টুডিয়োর বিপরীত রাস্তায় দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের মাথায় আঘাত চিহ্ন আছে। পাশে একটি হেলমেট পাওয়া গিয়েছে। তবে বাইকের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃত যুবকের নাম অনুপ মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। ইতোমধ্যেই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, নিহত যুবক দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা। পথ দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিস।
উল্লেখ্য, আহিরীটোলাকাণ্ডে তদন্তে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুমিতা ঘোষের টুকরো দেহ পাওয়া যায় আহিরীটোলা ঘাটের কাছে। সেই দেহ বিশাল ট্রলি ব্যাগে ভরে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে আসে ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ পিসি শাশুড়ি সুমিতাকে খুন করে ফাল্গুনী ঘোষ। তারপর দেহ ব্যাগে পুরে ফেলার তোড়জোড় শুরু করে। কিন্তু তার আগে দেহ মধ্যমগ্রামের ঘরে রেখেই সোমবার সারাদিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রেইকি করে বেড়ায় ফাল্গুনী ও আরতি। কোথায় দেহ ফেলা হবে তা ঠিক করতেই সারাদিন ঘুরে বেড়ায় দুজন।
খুন করে বিপাকে পড়ে যায় ফাল্গুনী আরতি ঘোষ। লাশের গন্ধে ভরে যায় ঘর। সেই গন্ধ ঢাকতে একটি পারফিউম কিনে এনে বাড়িতে ব্যবহার করে তারা। দেহ ট্রলিতে ঢোকানোর সময়ে পা বেরিয়ে থাকছিল। সমস্যা মেটাতে তারা প্রথমে সুমিতার গোড়ালি কাটতে চেষ্টা করে। গোড়ালির হাড় শক্ত বলে তারা তা কাটতে পারেনি। পরে বটির কাঠের অংশ দিয়ে গোড়ালিতে আঘাত করে তার আলাদা করে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News