শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এবার আর ভিড় ঠেলাঠেলি করে পুজো দেখতে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে হবে না। মহাশিবরাত্রির পুজো জল্পেশ মন্দিরের বাইরে থেকেও দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। পাঁচশো বছরের পুরনো প্রাচীন শিব মন্দিরে এবার আধুনিক ব্যবস্থা সংযোজন করতে চলেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। লাগানো হচ্ছে জায়েন্ট স্কিন। তাতে পুজো দেখার ব্যবস্থা থাকছে। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেকটাই কমবে।
মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব জানান, মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। দশদিন ধরে সেই মেলা চলবে। পুজোর ও মেলার নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খন্ডবহালে জানান, দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে পুজো দেখতে এবং মেলা ঘুরতে পারেন, তার জন্য পুলিশের তরফে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা থাকবে। মন্দিরের চারপাশে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করে নজরদারি চালাবে পুলিশ। শতাধিক পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা। শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি নজরদারিতে ড্রোন ক্যামেরাও নামাচ্ছে পুলিশ।
এবার মহাশিবরাত্রির দিনই কুম্ভস্নানের শেষ দিন। জল্পেশ মন্দিরের গা ঘেঁষেই রয়েছে বিরাট দিঘি। যা স্বর্ণকুন্ড নামে পরিচিত। পবিত্র এই দিনে ভক্তরা স্নান করবেন। তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজ থেকে জল নিয়ে এসেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। গিরীন্দ্রনাথ বাবু জানান, সেই জল স্বর্ণকুন্ডে ঢালা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দিঘির পাড়ে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা থাকছে। এছাড়াও মন্দির ও দিঘির চারপাশে নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন ১২০ জন সেচ্ছাসেবক। রাত আটটা থেকে শুরু হবে মহাশিবরাত্রির পুজো। এবার লাইভ স্কিনের মাধ্যমে পুজো দেখার ব্যবস্থা থাকায় সকলেই ভালো ভাবে পুজো উপভোগ করতে পারবেন বলে মনে করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।