• আদালতের নির্দেশ অমান্য! ২ জেলার ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আদালতের নির্দেশ অমান্য! মালদা ও উত্তর ২৪ পরগনার ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি কলকাতা হাই কোর্টের। শুক্রবারের মধ্যে দুই ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের হলফনামা তলব করা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের জেলে পাঠানো হবে বলে খবর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    বাম আমলে ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েও তা বাতিল করা হয়। পরে ফের ২০১৪ সালে নিয়োগের পরীক্ষা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চারটি জেলায় নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। গত বছর ২৬ এপ্রিল মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন। তারপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মালদহ ডিপিএসসি। যদিও শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায়কেই বহাল রাখে। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ না হওয়ায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই নির্দেশ কার্যকর করার আদেশ দেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে। সেই নির্দেশ পালন না করে কমিশন জানায়, ওই মামলাকারীরা ২০১০-এর অ্যাডমিট কার্ড দিতে পারেননি। তাই তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে না। ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের এই আচরণে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা।

    এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, “বারবার আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান। তাই আদালতে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে হবে যে কেন তাকে দু’-তিনমাসের জন্য জেলে পাঠানো হবে না।” শুক্রবার এই ব্যাখ্যা হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ,”ইচ্ছে করে আদালতের রায় না মানা আজকাল কমিশনের স্বভাব হয়ে গিয়েছে। কমিশনের এমন আদালতের রায় না মানা দুর্ভাগ্যজনক। শুক্রবার নির্দেশ না মানলে জেলে পাঠাব।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)