ট্রলির মধ্য়ে মহিলার দেহ। সেটা বয়ে নিয়ে কুমোরটুলির ঘাটে ফেলার ছক ছিল মা মেয়ের। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে গিয়েছেন মা ও মেয়ে। বুধবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল মা ও মেয়েকে। বিচারক দুজনকেই একদিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের দুজনকেই ফের আদালতে তোলা হবে। সেই সঙ্গেই বিচারকের নির্দেশ মধ্য়মগ্রাম পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত মধ্য়মগ্রামেরf বাড়িতে পিসি শাশুড়িকে খুন করে সেই দেহ ট্রলিতে ভরে কুমোরটুলি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলেন মা ও মেয়ে। তবে ঘাটের কাছেই ধরা পড়ে যান দুজনে। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে গয়না, টাকাপয়সার লোভেই এই খুনের ছক কষা হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ সবটাই তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই ওই মা মেয়ের একাধিক কীর্তির কথা সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্য়েই ধৃত ফাল্গুনি ঘোষকে নিয়ে মধ্য়মগ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনি ঘোষ। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিছুটা ভ্যানে আসার পরে তারা ট্রলি চাপিয়ে ফেলেন ট্যাক্সিতে। এরপর সোজা কুমোরটুলির ঘাটে। নির্জন ঘাট। কেউ কোত্থাও নেই। বেশ ভারি ব্যাগ। কোনওরকমে সেই ব্যাগ তারা নামিয়েছিলেন। টেনে বেশ কিছুটা নিয়েও গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু আচমকাই সব ওলটপালট হয়ে গেল।
সিসি ক্যামেরায় একাধিক ছবি ধরা পড়েছে।
দুজনকে ভারী ট্রলি টেনে নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় এক মহিলার। ট্রলি ফেলার আগেই মা মেয়েকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ গিয়ে ট্রলি খুলতেই পর্দাফাঁস।
রবিবার বিকালে পিসিশাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ মা মেয়ের বিরুদ্ধে। এরপরই শুরু হয় দেহ লোপাট করার ছক। সেই মতো কুমোরটুলির ঘাটকে বেছে নেয় তারা। তবে সেই সঙ্গেই সন্দেহ করা হচ্ছে এর আগে কুমোরটুলির সঙ্গে তাদের আগাম পরিচয় ছিল।
তবে এবার মধ্য়মগ্রাম পুলিশ এবার তদন্ত করবে। তবে এবার তদন্তে কী আপডেট উঠে আসে সেটাই দেখার।