• ‘আমি জোড়াসাঁকো চালাই’ মহিলার দাবি ঘিরে জোর চর্চা, গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • জোড়াসাঁকো এলাকায় এক তরুণীর দাবিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে। ওই তরুণী দাবি করেছেন, তিনিই নাকি জোড়াসাঁকো চালান। জানা গিয়েছে, তরুণীর নাম পায়েল নাগ। তাঁর এমন দাবিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্তরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে জোড়াসাঁকো এলাকার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও তরুণীর দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।


    জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন তৃণমূলের বিবেক গুপ্ত। তা হলে মহিলা কীসের ভিত্তিতে এমন দাবি করছেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা বসুর দাবি, মেয়েটি বেশ কয়েকবার বিধায়কের নাম নিয়ে ফোন করেছেন। তবে তাতে কাজ হয়নি। পালটা এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধায়ককেই কটাক্ষ করেছেন সাধনা বসু। তিনি বলেন, যে বিধায়ক নিজেই জানেন না যে এই কেন্দ্রে কতগুলি ওয়ার্ড রয়েছে? কতজন স্বাস্থ্যসাথী বা অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন? পুরসভার দেওয়া টাকা দিয়েই তিনি ওয়ার্ড চালান। পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলররাও দাবি করেছেন, যে তরুণী বিধায়কের নাম নিয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেছেন। তবে সেটা রাজনৈতিক বিষয় নয়।

    এদিকে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রিয়াল চৌধুরী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের একজনই নেত্রী রয়েছেন। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই দল চালান। প্রসঙ্গত, ওই মহিলার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে তাঁকে বলতে সময় গিয়েছে, ‘আমি জোড়াসাঁকো চালাই’। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, কে কাকে চালান, কোনটা ঠিক? সেটা তিনি জানেন না। তবে তাঁদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা তাঁরা নিজেরাই মিটিয়ে নিলে ভালো হয়।

    প্রসঙ্গত, এর আগে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন বিধায়ক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজাকে। এবিষয়ে মুখ খুলেছেন বিধায়ক। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, উত্তর কলকাতার এক নেতা প্রভাব খতিয়ে নিজের পকেট ভরাচ্ছেন। তা নিয়ে প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে বিধায়কের কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি দলের কাছে জানাতে পারেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছেন, দলের বিধায়কদের কারও প্রশাসনিক বা সরকারি কাজ নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি দলীয় ফোরামে জানাতে পারবেন। তবে এদিন বিধায়ককে দলের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলতে দেখা যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)