• ১.৭ বছর পর উপাচার্য পেল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়, নাম ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • প্রায় এক বছর সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে উপাচার্যহীন অবস্থায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় । শেষবারের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সুহৃতা পাল। তবে রাজভবন তাঁকে অপসারণ করে। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুকুল ভট্টাচার্য বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।


    বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মধ্যে যখন টানাপোড়েন চলছিল সেই সময় সুহৃতা পালকে পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ২০২৩ সালের অগস্টে সুহৃতা পালকে সরানো হয়। এর কারণ হিসেবে রাজ্যপাল তথা আচার্যের দাবি ছিল, সার্চ কমিটিতে ইউজিসির কোনও প্রতিনিধি না থাকায় সুহৃতা পালের নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূতভাবে হয়েছিল। এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বর্তমানে সুহৃতা পাল বারাসত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল।

     প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। আরজি কর নিয়ে আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি এবং পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। আরজি কর ঘটনার সময় চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল।

    এদিকে, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটি মুকুলের নাম চূড়ান্ত করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠায়। পরে নাম যায় আচার্যের কাছে। শেষ পর্যন্ত মুকুলের নামেই সিলমোহর দেয় রাজবন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর মুকুল ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি বিজ্ঞপ্তি দেখেছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দায়িত্ব গ্রহণের চেষ্টা করব। বিশ্ববিদ্যালয়টি যে বিতর্ক এবং অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছে সে সম্পর্কে আমি অবগত। তাই, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করব। আমি সকলকে নিয়ে সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)