• নীল ট্রলিতে দেহ ভরে কেন মধ্যমগ্রাম থেকে কুমোরটুলি? মা- মেয়ের চমকে দেওয়া ছক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মধ্য়মগ্রামের বাড়ি থেকে ভ্যানে চাপিয়ে দোলতলা। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে ট্রলিব্যাগ চাপিয়ে কুমোরটুলির ঘাটে। কিন্তু কলকাতার এত জায়গা থাকতে কেন কুমোরটুলির ঘাটকে বেছে নেওয়া হল? 

    তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে আসছে একের পর এক তথ্য়। একেবারে চমকে দেওয়া তথ্য। 

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ইঁট দিয়ে খুন করার পরে বাড়িতে পড়েছিল দেহ। এরপর গোটা দিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রেইকি করেছিলেন মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনি ঘোষ। তারা মূলত খুঁজছিলেন নির্জন কোনও জায়গা যেখানে তাদের সন্দেহ করা হবে না। এরপর তাঁরা কুমোরটুলির ঘাটে এসেছিলেন। সেই ঘাট দেখে তাদের মনে হয়েছিল এই জায়গটি বেশ নির্জন। সকালবেলার দিকে আরও নির্জন থাকবে। সেই অনুসারে তারা এই কুমোরটুলির ঘাটকে বেছে নিয়েছিলেন। 

    সেই মতো তারা কিছুটা ভ্যানে আসার পরে ট্রলি চাপিয়ে ফেলেন ট্যাক্সিতে। এরপর সোজা কুমোরটুলির ঘাটে। নির্জন ঘাট। কেউ কোত্থাও নেই। বেশ ভারি ব্যাগ। কোনওরকমে সেই ব্যাগ তারা নামিয়েছিলেন। টেনে বেশ কিছুটা নিয়েও গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু আচমকাই সব ওলটপালট হয়ে গেল। 

    দুজনকে ভারী ট্রলি টেনে নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় এক মহিলার। ট্রলি ফেলার আগেই মা মেয়েকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ গিয়ে ট্রলি খুলতেই পর্দাফাঁস। 

    রবিবার বিকালে পিসিশাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ মা মেয়ের বিরুদ্ধে। এরপরই শুরু হয় দেহ লোপাট করার ছক। সেই মতো কুমোরটুলির ঘাটকে বেছে নেয় তারা। তবে সেই সঙ্গেই সন্দেহ করা হচ্ছে এর আগে কুমোরটুলির সঙ্গে তাদের আগাম পরিচয় ছিল।

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আরতি ঘোষের স্বামী অর্থাৎ ফাল্গুনির বাবা একটা সময় কুমোরটুলি অঞ্চলে থাকতেন। সম্ভবত রেইকিতে বেরিয়ে তারা কুমোরটুলির ঘাটেও ঘুরে দেখেছিল। কিন্তু ছকে কিছুটা ভুল হয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই ধরা পড়ে গেলেন তারা। 

    তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে একটি ভ্যানে প্রথমে ট্রলি চাপানো হয়েছিল। এরপর একেবারে প্রকাশ্য় রাস্তায় সেই ট্রলি নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন মা ও মেয়ে। বিরাট বড় ট্রলি। তার মধ্যে দেহ চাপিয়ে মা বসেছিলেন ভ্যানে। আর মেয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এরপর সেখান থেকে ট্যাক্সিতে। সেই ট্যাক্সিতে চেপে সোজা কুমোরটুলির ঘাটে। কিন্তু সেখানে শেষ রক্ষা হল না। সেই দেহ ফেলার আগেই ধরা পড়ে গেলেন দুজনে। 

    ওই ট্যাক্সি চালক জানিয়েছেন, ৭০০ টাকা ভাড়া ঠিক হয়েছিল। প্রথমে ৬০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। পরে ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল তাকে। ট্রলি ভারি ছিল। কিন্তু মাস্কে মুখ ঢাকা দুজনকে দেখে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)