• 'ED ব্যর্থ হওয়ায় এবার CBIকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা খণ্ডন করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীল সঞ্জয় বসু। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সম্প্রতি পেশ করা চার্জশিটে বিভ্রান্তিমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে CBI.


    পড়তে থাকুন - চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি

    বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আমার মক্কেল ইডি ও সিবিআইকে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তাঁকে যখন যেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে সেখানে হাজিরা দিয়েছেন। যে নথি চাওয়া হয়েছে সেই নথি জমা দিয়েছেন। তার পরেও সিবিআই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। যেখানে অপরাধের সূত্র অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে EDকে। তারা পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করেনি।’

    বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘যে চার্জশিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার মক্কেলকে হেনস্থা করার একটা টোপ মাত্র। সিবিআই চার্জশিটে যে দাবি করেছে তার সমর্থনে কোনও নথি বা প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা। যাতে স্পষ্ট আমার মক্কেলকে ফের একবার অকারণে নিশানা করা হচ্ছে।’

    বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘এর আগে ইডি শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল। কোনও প্রমাণ না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ইডিকে দিয়ে হেনস্থা করতে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতি শক্তি এখন সিবিআইয়ের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে নিজেদের কার্যসিদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সাম্প্রতিক চার্জশিট প্রমাণ না থাকলেও সন্দেহের উদ্রেক করার একটা মরিয়া চেষ্টা।’


    বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিবিআইয়ের এই চেষ্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার একটা ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র। খতিয়ে না দেখেই এই মামলায় যে ভাবে ব্যক্তিদের বয়ান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা সিবিআই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।’

    বলে রাখি, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সিবিআইয়ের পেশ করা ২৬ পাতার চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামে জনৈক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে জানানো হয়, বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের বিনিময়ে ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। টাকা না পেলে ওই ব্যক্তিদের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক। তবে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে তার কোনও উল্লেখ নেই গোটা চার্জশিটে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)