'আরজি কর কাণ্ডে ধামাচাপার চেষ্টা… মিলেছে আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণ', দাবি রিপোর্টে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে তথ্য়প্রমাণ লোপাটের মামলায় এবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট তৈরি করছে সিবিআই। আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে এই মামলার দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও সময় মতো চার্জশিট জমা না করায় সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন দু'জনেই।
তবে এবারের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী কী তথ্যপ্রমাণ থাকবে? সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে আনন্দাজারের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতাল এবং টালা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজের থেকে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ খাকছে এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে। এছাড়াও প্রায় ১৮০ জনকে জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। আগামী ৩ মার্চ শিয়ালদা অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আনন্দবাজারের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক সিবিআই কর্তা দাবি করেছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপার চেষ্টা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত নানা তথ্য মিলেছে। এই তদন্তের ফলে গুরুত্বপূর্ণ আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সেই সব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এদিকে আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এখনও পর্যন্ত সাতটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই সব মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া রিপোর্টের অনেক তথ্য দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে থাকতে চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে সিবিআই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভিজিৎ এবং সন্দীপ ছাড়াও আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর ভূমিকার কথা জানা গিয়েছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সেই সব তথ্যের উল্লেখ থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও অনেকের ক্ষেত্রে আদালতগ্রাহ্য তথ্যপ্রমাণ প্রতিষ্ঠা করায় কিছু জটিলতা আছে বলে দাবি করা হয়েছে সিবিআই সূত্রে। এই আবহে দিল্লির সদর দফতরে অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে খুঁটিয়ে আলোচনা করে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট প্রস্তুত করা হচ্ছে।