চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজ্যে আরও বেআইনি নিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। বেআইনি নিয়োগের টাকা কী ভাবে ভাগ করা হবে তাও নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন তাঁরা। ঠিক করা হয়েছিল জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হবে ২০ শতাংশ বখরা। এক প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। তবে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিটি কে তার কোনও উল্লেখ চার্জশিটে করেনি সিবিআই।
পড়তে থাকুন - চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি
সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোমানিন্য চলছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারই মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় মিলে আরও ২ হাজার বেআইনি নিয়োগের পরিকল্পনা করেন। ঠিক হয় বেআইনি ভাবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তোলা হবে ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপত মানিক ভট্টাচার্য ও জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাকি ৪০ কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেবেন তাঁরা।
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সিবিআইয়ের হাতে আসা একটি কথপোকথন থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতির ঘুষের টাকার ভাগ দিতে গিয়েছিলেন কুন্তল ও শান্তনু। তখন তাঁদের মধ্যে কথপোকথন রেকর্ড করেছিলেন কুন্তল ঘোষের সংস্থার কর্মী অনির্বাণ রায়চৌধুরী। ওই অডিয়ো ক্লিপে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম রয়েছে। সত্যতা প্রমাণের জন্য অডিয়ো ক্লিপটি পরীক্ষা করতে দিল্লির CFSLএ পাঠিয়েছে সিবিআই। সঙ্গে পাঠানো হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ, কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা।