চন্দননগরের নিহত তরুণী সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, ইভটিজ়িং হয়েছে। পুলিশের দাবিকে নস্যাৎ করেন তিনি। বুধবার তিনি বললেন, ‘কিছু একটা গোপন করা হচ্ছে।’ পানাগড়ের ঘটনায় যে বা যাঁরাই দোষী হোক না কেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেন তিনি।
সুতন্দ্রার সঙ্গে গাড়িতে থাকা সহযাত্রীরা সংবাদমাধ্যমের কাছে শুরু থেকেই দাবি করেছিলেন, ঘটনার রাতে হাইওয়েতে একটি সাদা গাড়ি তাঁদের ধাওয়া করে। সেই গাড়ি থেকে নানা কটূক্তি ভেসে আসছিল। যদিও পাল্টা পুলিশ ইভটিজ়িং-এর কোনও অভিযোগ পাইনি বলে দাবি করে। তবে বুধবার তনুশ্রী দেবী বলেন, ‘আমি সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম সাদা গাড়িটা আগে যাচ্ছে, পিছনে আমাদের গাড়িটা খুব জোরে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন, এত জোরে কেন গাড়ি চালাচ্ছিল? ও তো দাঁড়িয়ে যেতে পারত। গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কেন ড্রাইভারকে বলেননি এত জোরে না চালাতে।’
এর পরেই তিনি দাবি করেন, ‘যে গাড়ির লোকই দোষী হোক, তদন্ত করে পুলিশ বের করুক। কোথাও একটা কিছু গোপন করা হচ্ছে। আমার মেয়ে গিয়েছে, মেয়েটা আমার তাই সন্দেহ হচ্ছে। সিসিটিভি দেখে আরও সন্দেহ বাড়ছে। আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কে আসল দোষী, সেটা পুলিশ তদন্ত করুক।’
অন্যদিকে, কাঁকসা থানায় বুধবার নিহত তরুণীর সহকর্মী মন্টু ঘোষকে (গাড়িতে ছিলেন তিনি) ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এ দিন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিহত তরুণীর পরিচিত আরও দু’জনকে ডাকা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আসানসোল পুলিশের তরফে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।