ছেলের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জানার পরেই কান্নাকাটি করেছিলেন, তার পর থম মেরে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। কিছু কাজের নাম করে বেরিয়ে যান। তার পরেই খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় সেই বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ছেলের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধা।
বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রতিদিনই কাজ থেকে আউশগ্রামের বাড়িতে ফেরেন। মঙ্গলবার রাতেও মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে গুসকরা ১১ মাইল রাজ্য সড়কে একটি বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই মৃত্যু হয় বছর চৌষট্টির বিশ্বজিতের। মঙ্গলবার রাতের ওই দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছলেও তাঁর বৃদ্ধা মা-কে খবরটা জানানো হয়নি।
বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ ঘোষের মৃত্যুর সংবাদ পায় গোটা পরিবার। সেই সময়েই ছেলের মৃত্যুর খবর পান তাঁর বৃদ্ধা মা। আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, প্রবল কান্নাকাটি করতে শুরু করেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে থম মেরে যান। তিনি নাকি বারবার বলছিলেন, বড় ছেলে মারা গেলে তিনি বাঁচবেন না। এক সময়ে পান খেতে যাচ্ছি বলে বাড়িতে চলে যান তিনি। ওই গ্রামেই পুরনো বাড়িতে থাকতেন তিনি। পাশেই বাড়ি করেছিলেন তাঁর বড় ছেলে বিশ্বজিৎ। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁর খোঁজ শুরু হয়। তখনই খোঁজ করা হলে বাড়ি থেকে বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।