বিধান সরকার: মঙ্গলবারই সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় পুলিসের রেষারষি তত্ত্বকে খারিজ করে দেন। বুধবারই পুলিসের জালে আটক হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব। এরপরই সুতন্দ্রার মামা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁকসা থানার অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, বাবলু যাদবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস সূত্রে খবর, বাবলু গ্রেফতার হয়নি। এই নিয়ে সুতন্দ্রার মা বলেন, 'আমি নিজেই কনফিউজড। কিছু একটা গোপন করা হচ্ছে, কে করছে কেন করছে বলতে পারব না।'
তনুশ্রী দেবী আরও বলেন, 'আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখছি তাতে বলছি সাদা গাড়ি হোক নীল গাড়ি হোক আমাদের গাড়ি হোক যেই অপরাধী হোক তার ঠিক ঠিক তদন্ত করে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আমি সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম সাদা গাড়িটা আগে যাচ্ছে পিছনে আমাদের গাড়িটা খুব জোরে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন গাড়িটি জোরে কেন চালাচ্ছিল। ও তো দাঁড়িয়ে যেতে পারত। গাড়িতে যারা ছিল তারা কেন ড্রাইভারকে বলেনি এত জোরে না চালাতে।'
তিনি বলেন, 'আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কে আসল দোষী সেটা পুলিস তদন্ত করুক। যে গাড়ির লোকই দোষী হোক তদন্ত করে পুলিস বের করুক। কোথাও একটা গোপন করা হচ্ছে মনে হচ্ছে। আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি, মেয়েটা আমার। তাই সন্দেহ হচ্ছে। সিসিটিভি দেখে আরও সন্দেহ বাড়ছে। মেয়ের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কাজে কোনও সমস্যা ছিল বলে শুনিনি। তবে ওদের কাজ ওরাই জানত।'
সুতন্দ্রার মামা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কী হয়েছিল সেটা আমরা ফুটেজে দেখছি। তাতে মনে হয় অনেক কিছুই হচ্ছে। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নয় জন প্রত্যক্ষদর্শী। আমার ভাগ্নি মারা গেছে। দিদি যা বলেছে সেটা যা শুনেছে সেটাই বলেছে। হয়ত ভাষাটা তার ছিল। কোনওভাবে রাজনৈতিক চাপে না পরে স্বচ্ছ তদন্ত হোক। ইভটিজিং কি হয়েছে না হয়েছে সেটা ওই নয়জনই বলতে পারবে। কিন্তু হাইওয়েতে ইভটিজিং কমন। আমার আত্ময়ীদের সঙ্গে হয়েছে। তাই বলতে পারি। এর বিরুদ্ধে লড়াই হওয়া দরকার। একটা দৃষ্টান্তমূলক কিছু করা দরকার। এটা পারবে সাধারন মানুষ।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি কাঁকসা থানার আইসিকে ফোন করেছিলাম। সেখান থেকে বলা হয় বাবলু যাদব আটক হয়েছে। আমাদের গাড়ি থেকে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।' তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তিনজনকে ডাকা হয়েছিল কাঁকসায়। একজন গেছে বলল। আমি আরও একটা অভিযোগ করব।'
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News