দমদমে প্রবীণ দম্পতিকে ভয় দেখিয়ে লুটের ঘটনায় সোমবার রাতে ট্যাংরা থেকে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রবিউল গাজি ওরফে ন্যাক্রো। এই নিয়ে ওই ঘটনায় মোট তিন জন ধরা পড়ল।
এর আগে লুটের ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্কুটার এবং একটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল মণি মোল্লা ও বিবেক রায় নামে দুই ব্যক্তিকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিউলের নাম উঠে আসে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতী দলটি কলকাতার। দমদমের ওই বাড়িটি কী ভাবে তাদের নজরে পড়ল, কেউ বা কারা ওই বাড়িটি সম্পর্কে তথ্য অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল কিনা অথবা গোটা ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারটির পরিচিত কারও হাত রয়েছে কিনা— সে সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছ’-সাত জন দুষ্কৃতীর একটি দল দমদম পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে ওই প্রবীণ দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয়। একতলার একটি ঘরের জানলার গ্রিল ভেঙে কয়েক জন ভিতরে ঢোকে। এর পরে দুষ্কৃতীরা দোতলায় উঠে গৃহকর্ত্রী পুতুল মজুমদারকে ভয় দেখিয়ে লুটপাট চালায়। ঘরে সেই সময়ে শয্যাশায়ী ছিলেন পুতুলের স্বামী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত শঙ্কর মজুমদার। লুটপাট চালিয়ে অভিযুক্তেরা একই পথে চম্পট দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচ দিনের মাথায় একটি স্কুটার ও বাইক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, নজরদারি এড়াতে তারা হেলমেট পরে অপরাধ সংঘটিত করে। সেই কারণে তাদের চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। রবিউলকে জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ।
এই ঘটনার পরে বাসিন্দাদের একাংশ রাতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। যদিও প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, পরিচারিকা থেকে শুরু করে ভাড়াটেদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথি স্থানীয় থানায় জমা দেওয়ার জন্য বার বার বলা হয় বাসিন্দাদের। তার পরেও অনেকে সচেতন হন না। তাই এই বিষয়ে সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।