• শিবরাত্রিতে বেলদার কেদারনাথ জিউ মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম ও মেলা  
    বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বেলদা: শিব চতুর্দশীতে মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বেলদা থানার খাকুড়দা সংলগ্ন কেদার গ্রামের কেদারনাথ জিউ মন্দির প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভিড় হয়। বুধবার শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে মেলা বসে। কেদার, বাস্তুপুর, বেতারুই, ধনেশ্বরপুর ও খাকুড়দা গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘পঞ্চগ্রাম কমিটি’। সেই কমিটিই এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। তত্ত্বাবধানে থাকেন দাঁতন-২ ব্লকের বিডিও, বেলদা থানার ওসি, জোড়াগাড়িয়া ফাঁড়ির আইসি ও সাবড়া গ্রাম পঞ্চায়েত।


    কেদার গ্রামের কেদারনাথ জিউ মন্দিরকে নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা শিবলিঙ্গ সবসময় জলে ডুবে থাকে। আর প্রতি দু’-তিন সেকেন্ড অন্তর ওই জলে বুদবুদ তৈরি হতে দেখা যায়। আবার জোরে ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করে ডাকলে আশ্চর্যজনকভাবে তৎক্ষণাৎ জলে বুদবুদ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, এখানে বাবা ভোলেনাথ ভক্তদের ডাকে সাড়া দেন । স্থানীয় গ্রাম্য ভাষায় এই বুদবুদকে ‘ভুড়ভুড়ি’ বলা হয়। তাই এই কেদারনাথ শিব মন্দির ‘ভুড়ভুড়ি কেদার’ নামেও পরিচিত। মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দিরে বাবার কাছে করা মানত করলে তা পূরণ হয়। বাংলা ও ওড়িশা থেকে বহু ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। প্রতি বছর শিবরাত্রিতে মন্দিরে অসংখ্য ভক্ত আসেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবছর ১০ হাজারের বেশি ভক্তের সমাগম হয়েছে। কয়েকশো বছরের প্রাচীন এই জাগ্রত শিব মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের মধ্যে একটি বহু প্রাচীন ভগ্ন মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। সেই মন্দির কত পুরনো তা সঠিকভাবে জানা যায় না। সন্তান কামনায় এই পুকুরের জল নিয়ে মন্দিরের চারদিক প্রদক্ষিণ করে ভক্তিভরে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের বিশ্বাস, শুধু সন্তান প্রাপ্তির ক্ষেত্রেই নয়, এখানে মহাদেব ভক্তদের সমস্তরকম মনস্কামনা পূর্ণ করেন।মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য মুক্তিরঞ্জন দাস ও পিনাকী বর্মন বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের এখানে শিবরাত্রির মেলা ও অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে চলছে। এবছর ১০ হাজারের বেশি ভক্ত মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন। মূল আকর্ষণ, মন্দিরের চূড়ায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। তা দেখতে বহু মানুষ মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)