• শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলের ৪ কাউন্সিলারকে শোকজ তৃণমূলের
    বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দল বিরোধী কাজের অভিযোগে রঘুনাথপুর পুরসভার চার কাউন্সিলারকে শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার চার কাউন্সিলারের কাছে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শহরজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।


    রঘুনাথপুর পুরসভায় মোট ১৩ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের ১০ জন, কংগ্রেসের দু’জন এবং বিজেপির একজন কাউন্সিলার রয়েছেন। সম্প্রতি চেয়ারম্যান ও পুরসভার নির্বাহী আধিকারিকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুরসভার তৃণমূলের চার কাউন্সিলার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে চিঠি পাঠান। তা আবার প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়। নেতৃত্বের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে পুরমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া ও সেই চিঠি প্রকাশ্যে নিয়ে আসাকে জেলা ও শহর তৃণমূল নেতৃত্ব ভালো চোখে নেয়নি। চার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে দল ক্ষুব্ধ। তাই জেলা সভাপতির নির্দেশে রঘুনাথপুর শহর তৃণমূল নেতৃত্ব ওই চার কাউন্সিলারকে শোকজ করে।


    রঘুনাথপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিষ্ণুচরণ মাহাথা বলেন, কাউন্সিলারদের মধ্যে মত বিরোধ ও সমস্যা হতেই পারে। সেটা দলকে জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, প্রণব দেওঘরিয়া, মৃত্যুঞ্জয় পরামানিক, সুশান্ত শেখর ঘোষ ও মালবিকা সাই দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি আবার প্রকাশ্যে আনা হয়। যেটা দল বিরোধী কাজ। তাই জেলা সভাপতির নির্দেশে চার কাউন্সিলারকে শোকজ করা হয়েছে। 


    কাউন্সিলার তথা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি প্রণববাবু বলেন, ১২ বছর যুব তৃণমূল করেছি। বর্তমানে কাউন্সিলার রয়েছি। পুরসভায় টেন্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে অনিয়ম রয়েছে। কাজ না করে ভুয়ো বিল তোলা হয়। যাতে নির্বাহী আধিকারিক সহযোগিতা করেন। আমরা চাই পুরসভায় স্বচ্ছভাবে কাজ হোক। আমাদের যে শোকজ করা হয়েছে, সেটা অনৈতিক। আমরা তার সঠিক জবাব দেব। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, চেয়ারম্যান নিজে বাঁচার জন্য শহর সভাপতিকে চাপ দিয়েছেন। তাই তিনি আমাদের শোকজ করতে বাধ্য হয়েছেন। গত দু’বছর ধরে পুরসভায় যে কাজ হয়েছে, তার তদন্ত হোক। তাহলেই সমস্ত সত্য বেরিয়ে আসবে।


    চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, বর্তমানে পুরসভাজুড়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। ওই চার কাউন্সিলার উন্নয়নের বিরুদ্ধে। তাঁরা পুরসভার কোনও মিটিংয়ে আসেন না। আমাদের বিরোধী কাউন্সিলারদের নিয়ে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়।


    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, কাউন্সিলারদের নিয়ে সমস্যা সমাধানে একাধিকবার বসা হয়েছে। তারপরেও দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে ওই চার কাউন্সিলার প্রকাশ্যে সমস্যার কথা এনেছে। যেটা দল বিরোধী কাজ। তাই তাঁদের কারণ দর্শানোর জন্য জানানো হয়েছে। আগামী দিন উভয়কে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)