• বাগডোগরা বনাঞ্চলে মন্দিরে প্রবেশের পথেও টাকা, সরব পুণ্যার্থীরা
    বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বাগডোগরা: বাগডোগরার জংলিবাবা মন্দিরে শিবরাত্রির পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় ক্ষোভ ছড়ায়। বুধবার সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্ত আসেন মন্দিরে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঢোকার দুই প্রবেশ গেটেই থাকা বনবিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে সকলকে টিকিট কাটতে হয়। 


    বাগডোগরা বনাঞ্চলের ভিতর রয়েছে টিপুখোলা ইকো ট্যুরিজম স্পট। সেই স্পটে যেতে মাথা পিছু ২০ টাকা ও বাইকের জন্য আরও ১০ টাকা আদায় করা হয়। তবে ওই স্পটে না গিয়ে শুধু মন্দিরে পুজো দিতে গেলেও পুণ্যার্থীদের থেকে এদিন টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এনিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুজো দিতে আসা শিবভক্তরা। যদিও বনদপ্তর জানিয়েছে, এবার নতুন নয়। গত বছর থেকেই মন্দিরে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে হচ্ছে। 


    পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, এবছর একটি বাইকের জন্য ১০ টাকা করে দু’টি টিকিট কাটতে হচ্ছিল। আবার ২০ টাকার টিকিট দিয়ে ৩০ টাকা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ পুণ্যার্থীদের। এনিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে জেএফএমসি’র (জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি) সদস্যদের বচসাও হয়। রবি রায় নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, বহু বছর ধরে মন্দিরে পুজো দিতে আসছি। আগে এমনটা হতো না। বনদপ্তরের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। সৈকতকুমার রায় নামের আর এক পুণ্যার্থী বলেন, বাইকের জন্য হলুদ রঙের টিকিট, লেখা ১০ টাকা। চালক ও সওয়ারির জন্য মাথাপিছু ২০ টাকার সাদা রঙের টিকিট দেওয়া হয়। তবে একটি বাইকের জন্য হলুদ রঙের দু’টি টিকিট দিয়ে ৩০ টাকা চাওয়া হয়। এমন কেন জানতে চাইলে তখন টিকিট পাল্টে দেওয়া হয়। 


    বনদপ্তরের বাগডোগরার রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে গতবছর থেকে মন্দিরে যাওয়ার জন্যও টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ জেএফএমসি’র সদস্যরা পূর্তদপ্তরের তৈরি জঙ্গলের রাস্তাটি সারা বছর পরিচ্ছন্ন রাখেন। তাই তাঁরাই এই টিকিটের টাকা আদায় করেন। অনিয়ম হওয়ার কথা নয়। প্রচুর পুণ্যার্থী আসায় তাড়াহুড়োয় টিকিট দেওয়া নিয়ে কিছু হয়ে থাকলে খোঁজ নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)