সিম প্রতারণা: এবার কোচবিহার থেকে পুলিসের জালে ৩ এজেন্ট
বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: জলপাইগুড়ির পর এবার কোচবিহারেও সিম প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল। গ্রাহকের অজান্তে তাঁর নথি ব্যবহার করে সিম তুলে তা সাইবার প্রতারণার কাজে লাগানো হতো। কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিস এই অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সম্প্রতি স্টেট সাইবার ক্রাইম উইংসের পক্ষ থেকে কোচবিহারে ৬৮১টি সিমের ডেটা পাঠানো হয়। জেলা পুলিস বিভিন্ন থানা এলাকায় তা নিয়ে তদন্তে নামে। সেই তদন্ত করতে নেমেই পুণ্ডিবাড়ি থানা তিনজনকে গ্রেপ্তার করল। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কিংবা প্যান কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইকার্ডের ফটোকপি যেকারও হাতে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল— শুভঙ্কর সাহা, কৌশিক রায় ও প্রসেনজিৎ দে। এদের তিনজনের বাড়ি পুণ্ডিবাড়ি থানার হোগলাবাড়ি, যজ্ঞনারায়ণের কুঠি ও বড় রাংরস গ্রামে। তিনটি আলাদা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা তাদের বাড়ির কাছে সিম বিক্রির এজেন্টের কাজ করত।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, সাইবার ক্রাইম রোখা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নথি চুরি করে সিম তুলে তা ব্যবহার করার অভিযোগে পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। রাজ্য থেকে পাঠানো ৬৮১টি সিমের ডেটা নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
সম্প্রতি কোচবিহারে ডিজিটাল অ্যারেস্টের মতো ঘটনা ঘটেছে। এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষককে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার প্রতারকরা। যদিও ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে দুই দফায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এনেছে। এছাড়াও সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিস দিনহাটা থেকে সম্প্রতি একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলায় দিনকে দিন এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। এরই মধ্যে পুলিসের জালে এই তিনজন গ্রেপ্তার হল। সর্তকতা হিসেবে পুলিস জানিয়েছে, আইডি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অরিজিনাল কপি দেওয়া যাবে না। ফটোকপি দিলে সেখানে অবশ্যই সই করে দেওয়ার পাশাপাশি কি কারণে তা দেওয়া হচ্ছে তার উল্লেখ করতে হবে। যাতে ওই ফটোকপি দ্বিতীয় কোনও কাজে ব্যবহার করা না যায়।