এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার বঙ্গ বিজেপির ৩২ জন নেতা-নেত্রীর
বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরবর্তী রাজ্য সভাপতি নিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোল চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। সাংগঠনিক হতশ্রী দশা চরমে পৌঁছেছে। সেই আবহে এবার ৩২ জন বিজেপি নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নিল দিল্লি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সুপরিশে মেনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে জওয়ানদের ঘেরাটোপে থাকার দিন শেষ ৩২ জন গেরুয়া নেতার। তাঁদের মধ্যে সাতজন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে পদ্ম প্রতীকে এরাজ্য থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই হেরেছেন। ছ’জন জেলা সভাপতিও রয়েছেন এই তালিকায়। এছাড়া দশরথ তিরকের মতো প্রাক্তন এমপি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা হারিয়েছেন। নিরাপত্তা হারানো সাত বিজেপি প্রার্থী হলেন—পিয়া সাহা (বোলপুর), অভিজিৎ দাস (ডায়মন্ডহারবার), অশোক কাণ্ডারী (জয়নগর), দেবাশিস ধর (বীরভূম), নির্মল সাহা (বহরমপুর), অরুণোদয় পাল চৌধুরী (উলুবেড়িয়া) এবং অরূপকান্তি দিগর (আরামবাগ)।
এই প্রসঙ্গে বোলপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা বলেন, লোকসভা ভোটের আগে আমাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। এদিন তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আমি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থাকল কি না, তার বিশেষ গুরুত্ব নেই।
একইভাবে নদীয়া, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঘাটাল ও কলকাতা উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাও রয়েছেন এই তালিকায়। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে টিকিট পাননি তিনি। পরিবর্তে মাদারিহাটের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনে দল। এনিয়ে বারলার ক্ষোভ চরমে উঠেছিল। মনোজের ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা আসন উপনির্বাচনে হাতছাড়া রয়েছে গেরুয়া পার্টির। উল্টে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরে তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে বারলাকে। তারপর থেকেই আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি এমপির দলবদল ঘিরে জল্পনা চরমে ওঠে। তার প্রেক্ষিতে তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।