নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: ঘোলার হোটেল থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছিল। খুন, আত্মহত্যা নাকি শারীরিক অসুস্থতার জন্য যুবকের মৃত্যু— তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘোলা থানার পুলিস মৃতের বান্ধবীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম তিতলি দে। বাড়ি মোহনপুর থানা এলাকার চককাঁঠালিয়া এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঘোলা থানা এলাকার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া হোটেল থেকে বাবলু মণ্ডলের (৩৫) দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি তিতলির গ্রামেই। রবিবার দুপুরে বাবলু ও তিতলি ওই হোটেলে এসে উঠেছিলেন। তিতলির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক বেশ কয়েক বছরের। তাঁরা এর আগেও একাধিকবার একসঙ্গে বাইরে গিয়ে থেকেছেন। ঘোলার হোটেলে তাঁদের দু’দিনের বুকিং ছিল। মাঝে কিছুটা তিক্ততা তৈরি হওয়ায় তিতলি সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। হোটেলের ঘরে ঢোকার পর এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওইদিন তিতলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, পরিবারের অমতের কারণেই সম্পর্কে ইতি টানতে চান তিনি। বাবলু প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, তাঁকে ছেড়ে গেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এই হুমকিকে আমল না দিয়ে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিতলি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে বাবলু নেশা করার পাশাপাশি সম্ভবত কোনও ওষুধ খান। সেই ওষুধের ওভারডোজের কারণেই তাঁর মৃত্যু। পুলিস জানিয়েছে, কী ওষুধ তিনি খেয়েছিলেন, তা চিকিৎসকের রিপোর্ট আসার পর স্পষ্ট হবে।