স্কুলে বন্ধুদের মধ্যে বচসা ঘিরে মারপিট, মামলা গড়াল থানায়
বর্তমান | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: স্কুলের মধ্যে দুই সহপাঠীর বচসা। তা গড়ায় থানা-পুলিস পর্যন্ত। সেখানে অভিভাবকদের ডেকে বোঝাতে গিয়ে কালঘাম ছোটে পুলিস আধিকারিকদের। সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণির দুই পড়ুয়ার মধ্যে বচসা হয়, পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। সেই ঘটনা নিয়ে অভিভাবকরা শিবপুর থানার দারস্থ হন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এক পড়ুয়ার চোখের পাশে অল্পবিস্তর আঘাত লাগে। আক্রান্ত পড়ুয়ার অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সন্তানের সেই সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে সোজা থানায় এসে হাজির হন। স্কুলে খোঁজ নিয়ে পুলিস জানতে পারে, নিজেদের মধ্যে তারা মারামারি করেছে। তাতে একজন একটু বেশি চোট পায়। এরপর আক্রান্ত পড়ুয়ার অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে উত্তেজনা ছড়ান। ‘বিষয়টি স্কুলের মধ্যেই হয়তো মিটিয়ে নেওয়া যেত, থানায় যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না।’ পুলিসকে এমনটাই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত পড়ুয়ার বাবা বলেন, ‘কয়েকজন সহপাঠী বারবার আমার সন্তানকে অকারণে মারধর করে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই সরাসরি থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছি।’
শিবপুর থানার এক আধিকারিক দীর্ঘক্ষণ অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, স্কুলজীবনে পড়ুয়াদের মধ্যে এটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই সন্তানসম পড়ুয়াদের অপরাধের বিচার করেন। কিন্তু বিষয়টি আইন, অপরাধের পর্যায়ে চলে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সন্তানের ভবিষ্যৎ। এতে অপরাধ প্রবণতা কয়েকগুণ বাড়ে। দীর্ঘক্ষণ পর নাছোড় অভিভাবকদের বোঝাতে সক্ষম হয় পুলিস।
এ নিয়ে হাওড়া পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘স্কুল পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই নাবালক। ঘটনার গভীরতা খতিয়ে দেখে পুলিসের প্রথম দায়িত্ব অভিভাবকদের বোঝানো। সেটাই করা হয়েছে। অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে হলে প্রথম থেকেই অপরাধ প্রবণতা তৈরির পথকে আটকাতে হয়।’