আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্মেলনে বিশেষ কিছু বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে সেই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, ভুয়ো ভোটার ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এছাড়াও ভোটের আগে কাজের রূপরেখা তৈরি করে দিতে পারেন তিনি। এদিন সব মিলিয়ে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ দলের রাজ্য সম্মেলনে যোগদান করবেন। কিন্তু যারা যোগদান করতে পারবেন না তাঁদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে মমতার বক্তব্য সরাসরি জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ কর্মীদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ইনডোরের চারপাশ ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ঘিরে ২০টির বেশি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর কাজ চলছে। দলের প্রত্যেক কর্মীর কাছে যাতে মমতার বার্তা পৌঁছতে পারে সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে সম্মেলন। দূরের জেলা থেকে শহরে আসা কর্মীরা যাতে এ দিনই বাড়ি ফিরে যেতে পারেন সেই কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার তৃণমূল ভবন থেকে ডেলিগেট কার্ড সংগ্রহ করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আয়োজিত হতে চলা রাজ্য সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন তিনি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে আছেন দলের কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে বার্তা দিতে পারেন মমতা। নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে পিছিয়ে থাকা বিধানসভা ও পুর এলাকায় কীভাবে সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায়, সেই সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারেন। এছাড়াও গোষ্ঠীদ্বন্দের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে পারেন তিনি।
এদিনের সম্মেলন থেকে মমতা নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে গুরুত্ব পেতে পারে ভুয়ো ভোটার প্রসঙ্গও। বুথ স্তরের ভোটার তালিকায় নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে কর্মীদের। এছাড়াও সাংগঠনিক দুর্বলতা খুঁজে বের করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে পারেন মমতা। সাম্প্রদায়িক প্রচারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে সরব মুখ্য়মন্ত্রী। এই সব প্রচারের মাধ্যমে যাতে দুষ্কৃতীরা কোনও দুষ্কর্মে সফল হতে না পারে সেই জন্য উন্নয়নকে হাতিয়ার করার পরামর্শ দেবেন।
এছাড়াও কোনও সংস্থার উপর নির্ভর করে নয়, বরং সাংগঠনিক দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই দল চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা এ দিন জানিয়ে দেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, শাখা সংগঠনের শীর্ষ পদে বদল করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। অভিষেক ঘনিষ্ঠদের দাবি, খুব সম্ভবত তিনি সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন।