কুম্ভমেলায় নিয়ে গিয়ে অবব্যস্থার প্রতিবাদ করায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির প্রেক্ষিতে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের রানিয়া এলাকা থেকে বর্তমানে কুম্ভমেলায় যাওয়ার জন্য বাস ছাড়া হচ্ছে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের তত্ত্বাবধানে। সেখান থেকেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে একটি বাস কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্যুর অপারেটর ছিলেন রঞ্জিত সিং, নন্দু সিং এবং রবি সাউ।
পুণ্যার্থীদের দাবি, তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৬ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যাতায়াত ছাড়াও তিনবেলা খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু কপিলমুনি সাউ নামে এক পুণ্যার্থীর দাবি, যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা হয়নি। তাঁদের খাবারও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
কপিলমুনির দাবি, তিনি এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। শুধু তিনি নন, তাঁর প্রবীণ বাবা শিবশঙ্কর সাউ এবং স্ত্রীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ৩ ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাসের অন্যান্য পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের তরফে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কপিলমুনির অভিযোগের সত্যতাও।