• ‘আমার সংস্থা’ বলেছিলেন অভিষেক, সেখানেই পৌঁছেছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা, বলল সিবিআই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটি সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই সেই সংস্থাকে ‘আমার সংস্থা’ বলে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি আদালতে পেশ করা সিবিআইয়ের চার্জশিট বলছে, সেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নিউ আলিপুরের দফতরেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির ঘুষের টাকা।

    চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে, তদন্তে উঠে এসেছে যে অরুণ কুমার হাজরা অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের একজন এজেন্ট। অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে তিনি ৭৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। সাব এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, SSC গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, ৯ - ১০ শিক্ষক, ১১ - ১২ শিক্ষক, কর্মশিক্ষা - শারীরশিক্ষা শিক্ষকের নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই টাকা তুলেছেন তিনি। এর পর সেই টাকা পৌঁছে দিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে। কখনও সরাসরি, কখনও সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশেই নিখিল হাতি নামে সেই টাকা পৌঁছনো হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে ৭৮ কোটি টাকার মধ্যে ১১.৫ লক্ষ টাকা বেআইনি প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে খরচ হয়েছে।

    চার্জশিটে সিবিআই আরও জানিয়েছে, অরুণ কুমার হাজরা একাধিক সাব এজেন্ট রেখেছিলেন। সেই সাব এজেন্টরা প্রতিদিনের হিসাব নিজেদের ডায়েরিতে লিখে রাখতেন। প্রতটি লেনদেনের হিসাবের পাশে পাওয়া গিয়েছে অরুণ হাজরার সই। এরকম অন্তত ১০টি ডায়েরি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সাব এজেন্টরা জানিয়েছে ঘুষের টাকা অরুণ কুমার হাজরার কাছে পৌঁছে দেওয়া হত। তার পর তাঁর নির্দেশে কখনও ঘুষের টাকা সরাসরি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে পৌঁছে দেওয়া হত, কখনও সুজয়কৃষ্ণের সংস্থার কর্মী নিখিল হাতির বাড়ি গিয়ে তাঁর হাতে টাকা দেওয়া হত, কখনও বেহালা উত্তরসূরী নামে একটি ক্লাবের কাছে টাকা নিতেন নিখিল হাতি। আবার কখনও সুজয়কৃষ্ণের দফতর নিউ আলিপুরের মেসার্স লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডে পৌঁছে দেওয়া হত টাকা।

    বলে রাখি, ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। এর পর ২৮ অগাস্ট অভিষেক বলেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস আমার সংস্থা। সেখানে ইডির গোয়েন্দারা এসে তল্লাশির নামে কম্পিউটারে ১২টি ফাইল ডাউনলোড করে রেখে গিয়েছেন। এরাই পরে এসে বলবে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)