• বিজেপির আয়ু আর ক’দিন? দিনক্ষণ বলে দিলেন মমতা
    এই সময় | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভা থেকে ছত্রে ছত্রে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বদনাম করার জন্য বিজেপি বারবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। সব ঠিক থাকলে সামনের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। এ দিন মমতার তোপ, ‘নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এজেন্সির তৎপরতা বাড়বে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সবাইকে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।’ বরাবরই মমতা অভিযোগ করে এসেছেন, নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে টার্গেট করা হয় এজেন্সি দিয়ে। এ দিনও সেই অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘ইলেকশন এলেই মনে পড়ে তৃণমূলের চার্জশিট দিতে হবে। তৃণমূলের কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ঢোকানো হবে।’

    তবে এর সঙ্গেই বিজেপির আয়ু নিয়েও সাফ ভবিষ্যবাণী করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার তোপ, ‘২০২৭-২৯-এর মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। আর ২-৩ বছর আয়ু আছে। তারপরে আর নেই। এর মধ্যেই ওরা বাংলাকে টার্গেট করবে।’

    এ দিন সভা থেকে মমতা স্পষ্ট বার্তা দেন কর্মীদের কী কী করতে হবে। সবার আগে ভোটার লিস্ট যাচাই করার জন্য বুথস্তরের কর্মীদের ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখন থেকেই সেই কাজ করতে হবে, ৩ দিন পরপর দলীয় অফিসে তথ্য দিতে হবে। তার পরে সাত দিনের মধ্যে একটি কোর কমিটি করে দেওয়া হবে। রাজ্যস্তরে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজ দেখভালের জন্য রাজ্যস্তরে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মমতা। সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ওই কমিটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ, তৃণাঙ্কুর, দেবাংশু-সহ আরও অনেকে রয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)