‘বাংলা লড়তে পারে’, বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বললেন এরাজ্যে মহারাষ্ট্র-দিল্লি ফর্মুলা চলবে না ...
আজকাল | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: তৃণমূলের মেগা বৈঠক। প্রধান বক্তা দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। স্বাভাবিকভাবেই, দলীয় কর্মীদের দলনেত্রী ভোটের আগে কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল সব পক্ষের। একই সঙ্গে নজর ছিল, দলীয় কর্মীদের পয়েন্ট ধরে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আর কী বার্তা দেন মমতা।
একঘণ্টা এক মিনিটের বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বোঝালেন এই মুহূর্তে প্রধান কাজ বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা। বললেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে যদি কোনও দল একেবারে তৃণমূলী স্তরে কাজ করছে, তা তাঁরই দল, তৃণমূল কংগ্রেস। লম্বা বক্তব্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মমতার নিশানায় বারবার উঠে এল গেরুয়া শিবিরের নাম।
শুরুতেই মমতা অভিযোগ করেন, ২০২৪-এ বাংলায় লোকসভা ভোটে ৫ আসনে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। নইলে ৩৪ আসনই জিততে পারত তৃণমূল। বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ভোট এলেই বিজেপি ঠিক করে, কাকে জেলে ঢোকাতে হবে, কার নামে চার্জশিট দেওয়া হবে, কাকে চোর বলা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসানো থেকে, আর জি কর মামলার সমাধান না আসা এখনও, পরপর প্রসঙ্গ টেনে তীব্র কটাক্ষ বিজেপিকে। মহারাষ্ট্র-দিল্লির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলায় ওই ফর্মুলা চলবে না কোনওভাবেই। মমতা বলেন, ‘বাংলায় আমরা ধরব, যোগ্য জবাব দেব, এটা চ্যালেঞ্জ।‘
তীব্র কটাক্ষের সঙ্গেই দলীয় কর্মীদের মমতা বললেন, ২০২৭ থেকে ২০২৯-এর মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর। একই সঙ্গে মমতার নিশানায় এদিন ছিল হাত শিবিরও। বক্তব্যের এক অংশে মমতা বলেন, কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করলে ২০০১ সালেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারত তৃণমূল কংগ্রেস।