নারায়ণ সিংহ রায়: স্কুলেই আত্মহত্য়া! নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। তুমুল চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ নাগ। বাড়ি, ধূপগুড়ির মাস্টারপাড়ায়। গত কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়ির জলেশ্বরী বাজারের পাশেই একটি বেসরকারি স্কুলে কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার স্কুলে আসতেন। শুক্র ও শনিবার কম্পিউটার ক্লাস করিয়ে, রবিবার ধূপগুড়ি ফিরে যেতেন অভিজিত্। চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে আরও বেশ কয়েকটি স্কুলে।
গতকাল, বুধবার শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চাবি রাতে স্কুলেই থেকে গিয়েছিলেন অভিজিত্। এরপর আজ, বৃহস্পতিবার সকালে যথারীতি স্কুলে আসতে শুরু করে পড়ুয়ারা। সঙ্গে অভিভাবকরাও। কিন্তু তাঁরা দেখেন, স্কুলে তালা ঝুলছে! খবর দেওয়া হয় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের। শেষে তালা ভেঙে স্কুলে ঢোকেন অভিভাবকরা, তখনই নিজের ঘরেই ওই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস।
কীভাবে মৃত্যু? স্কুল সূত্রে খবর, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিল অভিজিৎকে। তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার বোস বলেন, খুবই দায়িত্ববান মানুষ ছিলেন। কোন অসংগতি লক্ষ করা যায়নি কখনও। প্রতি শুক্রবার এসে ক্লাস করিয়ে স্কুলের যাবতীয় কাজ সেরে আবার ধুপগুড়ি ফিরে যেতেন। তবে গতকাল স্কুলের চাবি চেয়ে নিলেন, একদিন আগেই এসেছেন কাজ রয়েছে বলে। সকালে যখন স্কুল তালা বন্ধ ছিল,বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না'। ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন , 'আমরা খতিয়ে দেখছি ঘটনাটি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ'।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭