‘আমাদের মেয়ে প্রার্থীদের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ, বাঘের মতো লড়াই করে’, প্রশংসা মমতার
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা হল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে দলীয় কর্মী–সমর্থকরা ভিড় করেছেন। আর এখান থেকে একদিকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে দলের মহিলা সাংসদদের প্রশংসা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকেই বিধানসভার লক্ষ্যে দলের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ থেকে শুরু করে দলের মহিলা বিধায়ক, মহিলা কাউন্সিলর এবং মহিলা সাংসদদের কাজ নিয়ে প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই মহিলাদের প্রশংসা এবং সম্মান জানালেন দলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লোকসভায় আমাদের মেয়ে প্রার্থীদের সংখ্যা এখন ৩৯ শতাংশ। ইলেকশনের আগে ৩৩ শতাংশ বলা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। অন্য দলগুলি তা দেয় না। আমরা কিন্তু দিই। হারা আসনে নয় বরং জেতা আসনে দিই। লোকসভা ও রাজ্যসভায় তারা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়াই করে। সুদীপ, কল্যাণ, ডেরেকদের পাশেই লড়াই করে সাগরিকারা।’
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্জাব–হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে। দিল্লি থেকে সবটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই করা হচ্ছে। কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘২০০৪ সালে আমাদের জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েও একটা আসন জিতি। তারও আগে ২০০১ সালেও আমরা ক্ষমতায় আসতাম। কংগ্রেস বিট্রে না করলে সেবারই পরিবর্তন হতো। যে অত্যাচার করেছে, মানুষ তার বিচায় চেয়েছিল। আমরা কী করছি, সেটাও মানুষ দেখছে। আমি সেই কর্মীকেই চাই, যে কিছু চায় না। ভোটের দিন পিস্তলের সামনে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করে।’
এছাড়া নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সরাসরি বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তবে মহিলা সাংসদরা যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে থাকবেন সেটা ইঙ্গিত দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ইলেকশনের সময় বিজেপি ডিএম, এসপি, বিডিওদের চেঞ্জ করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে গ্রামে ঢুকিয়ে বলে তৃণমূলকে ভোট দেবে না। বিজেপিকে ভোট দাও। এমন দুরবস্থা বাংলায় আগে দেখিনি। ভোট এলেই এটা বাড়তে থাকে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করছে। ইলেকশন এলেই মনে পড়ে, তৃণমূলের কাকে কাকে চার্জশিট দেবে, জেলে ভরবে। কটা প্রমাণ করতে পেরেছেন, লজ্জা করে না। আরজি করের আজও সমাধান করতে পারলেন না, কেসের পর কেস চলছে। ওরা বাংলাকে টার্গেট করেছে। কারণ বাকিরা কেউ লড়তে পারে না, বাংলা লড়তে পারে।’