• আমাকেও খুনের চেষ্টা করেছিল কাকা, ট্যাংরাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি নাবালকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ সদস্যকে খুন করেছেন ছোট ভাই প্রসূন দে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা এমনই জানিয়েছেন বড় ভাই প্রণয় দের নাবালক ছেলে। নাবালক আরও জানিয়েছে, তাঁকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা। কিন্তু মরার অভিনয় করে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে।

    বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ট্যাংরাকাণ্ডে জখম নাবালকের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। বেরিয়ে এসে অনন্যাদেবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ও জানতে পেরেছিল বাবা ও কাকা মা ও কাকিমা একটা সমঝোতা করেছিল। কিন্তু শেষ বেলায় মা ও কাকিমা আত্মহত্যা করতে অস্বীকার করে। তখন কাকা জোর করে তাদের খুন করে। নাবালককেও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল কাকা। কিন্তু নাবালক যোগব্যাম করায় শ্বাস ধরে রাখতে পারে। কাকা মুখে বালিশ চেপে ধরলে শ্বাস বন্ধ করে মরার অভিনয় করে সে। ফলে কাকা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দোতলায় উঠে দেখে মা - কাকিমা ও খুড়তুতো বোনের দেহ পড়ে রয়েছে। এর পর সে ছাদে গিয়ে দেখে বাবা ও কাকা আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে। তারও আত্মহত্যা করা উচিত বলে নাবালককে বোঝায় তারা। তাতে রাজিও হয়ে যায় নাবালক। গভীর রাতে যখন তারা গাড়ি নিয়ে বেরোয় তখন প্রণয় ও প্রসূনের সিদ্ধান্ত বদলে যায়। নাবালককে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে ২ ভাই। কিন্তু নাবালক তাতে রাজি হয়নি। সে জানায়, তার ভালোবাসার সবাই মরে গিয়েছে। সে আর বেঁচে থেকে কী করবে?’

    নাবালকের এই বয়ানের ফলে ওই দিন ওই বাড়িতে কী হয়েছিল তা অনেকটা স্পষ্ট হল। অনন্যাদেবী জানিয়েছেন, নাবালককে কী করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে শিশু সুরক্ষা কমিশন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)