• ‘‌খেলা আবার হবে, ২০২৬ সালের খেলায় আরও জোরে মারতে হবে’‌, নিদান দিলেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে সকাল থেকেই দলে দলে কর্মী–সমর্থকরা ভিড় করেছেন। আর এখান থেকে একদিকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকেই বিধানসভার লক্ষ্যে দলের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজনের প্রক্রিয়ায় কী ভাবে কাজ করতে হবে, সেই সংক্রান্ত বার্তাও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই এবার যে আবার খেলা হবে এবং ২০২৬ সালের খেলা আরও জোরে মারতে হবে সেটারও নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। জেলা থেকে ওই কমিটির কাছে রিপোর্ট আসবে। ওই কমিটি কাজ না করলে প্রয়োজনে নিজে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছাইয়ের কাজ করব। আমি নির্বাচন কমিশনকে খুব সম্মান করতাম। জানেন সদ্য কে নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সচিবকে করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এই কমিশন বিজেপির সেটিং করা।’‌


    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পঞ্জাব–হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে। দিল্লি থেকে সবটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই করা হচ্ছে। কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘‌২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দফতরে ধরনা দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। দু’‌তিন বছরের মধ্যেই ওদের আয়ু শেষ।’‌

    এছাড়া বিজেপিকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌সংবাদমাধ্যমে যাঁরা কাজ করেন, মালিকের সঙ্গে তফাৎ আছে। মালিকরা নানা ব্যবসা করেন। তাঁদের ইডি–সিবিআই দেখিয়ে ভয় দেখায়। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে লিখে দেয়। কোন খবর দেখাবে। ভোট এলে মনে পড়ে কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ভরা হবে। লজ্জা করে না আরজি কর কেস আজ পর্যন্ত সমাধান করেননি। কোন মুখে কথা বলেন? ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এই সব করানো হয়েছে। আমি যত দূর জানতে পেরেছি, অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দু’টি এজেন্সি আছে। তারা ডেটা অপারেটরদের কাছে গিয়ে নিয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)