• মমতার বৈঠকে গরহাজির উত্তরবঙ্গের বহু কাউন্সিলর, শংকর বললেন…
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • বিধানসভা ভোটের রণনীতি ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দলের সমল্ত জনপ্রতিনিধি ও পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। সেই নির্দেশ অমান্য বৈঠকে গরহাজির উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলররা। কিছু কিছু পুরসভায় তো সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরই পৌঁছননি কলকাতায়। তবে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সংশ্লিষ্ট পুরপ্রধানরা। ওদিকে গরহাজির কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে দল কোনও পদক্ষেপ করবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

    বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি বাতলে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ও হিন্দুত্বের রাজনীতির মোকাবিলা কী করে করবে তৃণমূল তার দিশা দেখাতে পারেন তিনি। তাই এই বৈঠকে দলের সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও পদাধিকারীর হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনুমান কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীর সমাবেশ হবে বৃহস্পতিবার।

    তারই মধ্যে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলররা এদিনের বৈঠকে হাজির থাকছেন না। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ৪ জন এসেছেন বৈঠকে। জলপাইগুড়ির ২২ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ১২ জন পৌঁছেছেন সভাস্থলে। ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে গরহাজির ৭ জন। গরহাজির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করবে দল? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, বিষয়টি বৈঠকের পরে বিবেচনা করা হবে।

    ওদিকে গরহাজির কাউন্সিলররা কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছেন, কারও আবার সন্তানের পরীক্ষা। কেউ আবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে যাননি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় কোন্দলের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে হাজির হননি এই কাউন্সিলররা। দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। নিজেদের প্রতিবাদ জানাতেই মমতার বৈঠক এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

    যদিও এব্যাপারে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে তৃণমূল বলে কিছু নেই। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কিছু লোককে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে বাধ্য করে। কিন্তু মনে মনে সবাই বিজেপিরই সমর্থক। অনেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও রয়েছে। পুলিশি হয়রানির ভয়ে বিজেপিতে যোগদান করতে পারছেন না তাঁরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে ভাবে তৃণমূলের নাম একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে তাতে সৎ ভদ্রলোক আর তৃণমূলের সঙ্গে নিজের নাম জড়াতে চায় না।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)