আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে সকাল থেকেই দলে দলে কর্মী–সমর্থকরা ভিড় করেছেন। আর এখান থেকে একদিকে বিজেপিকে হারানোর সংকল্প অপরদিকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এবার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সিবিআই চার্জশিট নিয়ে তোপ দাগলেন। এমনকী যে গুজব বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর নামে সেটারও আজ জবাব দিলেন অভিষেক।
এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই বাজারে রটিয়ে দেওয়া, অভিষেক নতুন দল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিজেপিতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা মঞ্চ থেকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘খবরে দেখাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি আমার নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়, কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। বিজেপি নেতারা যেমন ভাববাচ্যে কথা বলে থাকে। ওদের এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, অভিষেক বিজেপিতে যাচ্ছে। নতুন দল করছে। কিন্তু জেনে রাখুন, আমি বেইমান নই। আমার গলা কেটে দিলেও আমি বিজেপিতে যাব না।’
অন্যদিকে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা দেওয়ার কথা দিয়েছিল এবং দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে পথশ্রী প্রকল্পে বিপুল টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। মানুষের কাছে যাব, মাথানত করে কাজ করব। কিন্তু বিজেপির বশ্যতা স্বীকার করার লোক আমি নই। খবরে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমি নাকি বিজেপিতে যাব। খবরের সব মিথ্যা। আমার গলা কেটে দিলেও সেই কাটা গলা দিয়েই বেরোবে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’।’
এছাড়া দলের নেতা–কর্মীদের সতর্ক করেছেন অভিষেক। একইসঙ্গে বিজেপি নেতাদের তোপ দেগেছেন তিনি। অভিষেক যে গুজবের কথা বলেছেন সেটা ছড়ানোর দায় চাপিয়েছেন একাংশ সাংবাদিকের উপর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি জানি এসবের নেপথ্যে কারা। তবে এই মঞ্চ থেকে তাঁদের নাম জানিয়ে সভার অমর্যাদা করব না। সন্দেশখালি থেকে শুরু করে আরজি কর বাংলাকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল গোটা দেশের কাছে। তার জবাব বাংলার মানুষ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও এদের লজ্জা নেই। যত অহংকার, কুৎসা, ষড়যন্ত্র করবে তত হারবে।’